বোলপুর: শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২ অভিযুক্ত। সোমবার সকালে পাঁড়ুই থানার বাদলোডাঙা গ্রাম থেকে দুই নাবালককে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। রবিবার রাতে ওই গ্রাম থেকেই সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার মেলা থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর মোট চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ফেরার আরও ১ অভিযুক্তর খোঁজ চলছে।
শান্তিনিকেতনের পুলিস সুপার জানান, ওই নাবালিকা ও তার প্রেমিকের বয়ানের ভিত্তিতে স্কেচ আঁকানো হয়। তার ভিত্তিতেই খোঁজ চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই নাবালিকা তাঁর এক বান্ধবীর বাড়িতে আসে চড়ক পুজো দেখতে। শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ জানা গিয়েছে, সেই মেলা থেকে ফেরার পথে প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে ওই নাবালিকাকে অন্ধকার নদীর তীরে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। এরপরেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন: Coochbehar Storm: কালবৈশাখীর দাপটে লন্ডভন্ড কোচবিহার, মৃত ২, ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক ঘরবাড়ি
রবিবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিস আটক করে পাঁচ যুবককে। যদিও ওই পাঁচ যুবক নির্দোষ দাবি করে থানার সামনে ধর্নায় বসেন গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর, যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছিল ওই এলাকার পাঁচটি আলাদা আলাদা গ্রাম থেকে ওই পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিস। এরপরেই থানার সামনে ধর্নায় বসে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি হোক। তারা সাহায্য করবে। যাদের আটক করা হয়েছে তারা সকলেই নির্দোষ। এরপরেই চাপের মুখে পড়ে পুলিস ওই পাঁচ যুবককে ছেড়ে দেয়।
শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে ওই স্কেচ মিলিয়ে পাঁড়ুই থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। সোমবার সকালেও দুই নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।