কোচবিহার: বছরের শুরুতেই কোচবিহারে শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর তাণ্ডব। রবিবার রাতে কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা অসহায়ভাবে রাস্তায় দিনযাপন করছেন।
রবিবার বিকেল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। কোচবিহার, ফালাকাটা-সহ বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। উপড়ে যায় বহু গাছ। বহু বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায়। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলমের উপর উড়ে একটি টিনের ছাউনি পড়ে। সেই ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ক্ষতিয়ে দেখা হয় পরিস্থিতি। সকালে দেখা যায় ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে একের পর এক বাড়ি, ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল,ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। খুলে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল। সব মিলিয়ে ঝড়-বৃষ্টির জেরে প্রবল ক্ষতির মুখে কোচবিহারের একাংশের বাসিন্দারা।
গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানান, সন্ধে ৭টা নাগাদ একটি ঘূর্ণিঝড় আসে। মাত্র ২০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড় একেবারে লন্ডভন্ড করে দেয় কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। ঝড়ে দুজনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।