মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোবাইল চোরকে ধরে গণধোলাই। রীতিমতো হাসপাতালের পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে গিয়ে চলল বেধড়ক মার। নীরব দর্শক পুলিশ কর্মীরা।
রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর পরিজনের মোবাইল নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে এক যুবক। সেই সময় ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে রোগীর পরিজনেরা। রাস্তা থেকে চোরকে পাকড়াও করে প্রথমে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজের পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রে। সেখান থেকে পুলিশের লাঠি নিয়ে চোরকে মারধর করে রোগীর পরিজনেরাই।
এই হাসপাতাল চত্বরেই পুলিশের লাঠি দিয়ে চোরকে মারধর করেন রোগীর আত্মীয়রা
আরও পড়ুন: ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্তি, আত্মঘাতী যুবক
এরপর সহায়তা কেন্দ্র থেকে বের করে আর এক প্রস্থ মারধর করা হয় চোরকে। ঘটনা বেগতিক দেখে অবশ্য এগিয়ে আসে পুলিশকর্মীরা। আটক করা হয় ওই চোরকে। এই ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা পুলিশের লাঠি দিয়ে কীভাবে সাধারণ রোগীর পরিজন মারধর করছে চোরকে? এটাই বড় প্রশ্ন। পুলিশ অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। পুলিশের সামনে কীভাবে গণধোলাই! উঠছে সেই প্রশ্নও। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ স্কুল, বই-খাতা ছেড়ে পাথর ভাঙছে বীরভূমের আদিবাসী ঘরের ছেলে-মেয়েরা