সুন্দরবন: পর্যটকদের সুরক্ষায় কুলতলি কেল্লা বন্ধ করে দিল পুলিস৷ শীতের মরসুমে এখানে পিকনিক করতে আসেন পর্যটকরা৷ বাঘের আতঙ্কে সেই কেল্লায় আপাতত পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷ বড়দিনের আগে কেল্লা বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন স্থানীয়রা৷ যাকে ঘিরে এত আতঙ্ক তাকে অবশ্য এলাকায় দেখা যায়নি৷ কিন্তু এক জন্তুর পায়ের ছাপ দেখে কুলতলির (Kultali Tiger) বাসিন্দাদের বদ্ধমূল ধারণা, লোকালয়ের আশেপাশেই কোথাও ঘাপটি মেরে বসে আছে বাঘ বাবাজীবন৷ সেই থেকে দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা কুলতলির মানুষ৷ খবর পেয়েই বাঘ ধরতে জাল বিছিয়েছেন বন দফতরের (Forest Department) কর্মীরা৷
গত বৃহস্পতিবার গরানকাঠি ৫ নম্বর এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের ছাপ দেখতে পান দুই মৎস্যজীবী৷ বনদফতরকে খবর দেন তাঁরা৷ বন দফতরের কর্মীরা এসে জাল দিয়ে মাতলা নদী লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গল ঘিরে দেন৷ বাঘ ধরতে পাতা হয় তিনটি খাঁচাও৷ তারপর শনিবার সকালে বাঘের গতিবিধি দেখতে বেরোন কর্মীরা৷ মাতলা নদী থেকে পিয়ালী নদীর দিকে এগোতেই দেখা মেলে বাঘের পায়ের ছাপ৷ পিয়ালি নদীর ধার ধরেই বনকর্মীরা পৌঁছন কেল্লায়৷
বনকর্মীরা নিশ্চিত কেল্লার কাছেই কোথাও লুকিয়ে আছে বাঘটি৷ তার পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীরা বাঘের গর্জনও শুনতে পান৷ এক বনকর্মী জানিয়েছেন, কেল্লার কাছে পিয়ালি নদীর ধারে যেতেই বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছে৷ দেরি না করে নদীর ধার বরাবর জায়গাটি ঘিরে ফেলেন তাঁরা৷ পাশাপাশি কুলতলি থানার পক্ষ থেকে কেল্লা এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়৷ বাঘ না ধরা পর্যন্ত এলাকার কোনও বাসিন্দাকে নদীর চরে যেতে বারণ করে দিয়েছে পুলিস৷ ওই কেল্লায় পর্যটকদের পিকনিকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ পিয়ালি নদী ঘেঁষা ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতার কাজ শুরু করেছে বনদফতর।
আরও পড়ুন: birbhum: বীরভূমে কাটারির ঘায়ে জখম কুকুরের অপারেশন হাসপাতালে