খড়গপুর: খোঁজ নেই বিজেপির তারকা বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের৷ তাঁর সন্ধান পেতে রেল শহর ছেয়ে গিয়েছে পোস্টারে৷ তাতে বলা হয়েছে, বিজেপি বিধায়কের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে পুরস্কার৷ শুক্রবার সকাল থেকে এমন পোস্টারকে ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে খড়গপুরের তালবাগিচা এলাকায়৷ যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হিরণ৷ বলেন, ‘যাঁরা জিততে পারেননি তাঁরা হতাশায় এসব করছেন।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, শাসকের শাসন চলছে: শুভেন্দু
আজ সকালে বাজারে এসে হিরণের নামে পোস্টার দেখে চমকে যান এলাকাবাসী৷ তাতে ব্যঙ্গ করে লেখা, ‘বিধায়ক নিরুদ্দেশ৷ খুঁজে পেতে সাহায্য করুন৷’ আরেকটি পোস্টারে লেখা, ‘বিধায়ক তুমি কোথায়? আমরা খড়গপুরের কনটেনমেন্ট জোনে৷’ পোস্টারে বলা হয়েছে, বিধায়কের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে পুরস্কার৷ বিধায়ককে খুঁজে দিলেই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় খড়গপুর শহরের বেশ কিছু এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন৷ তাতে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা৷ তাঁদের কেউ কেউ বলেন, ‘আমরা কনটেনমেন্ট জোনে রয়েছি৷ কিন্তু বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের দেখা নেই৷ সকালবেলা বাজারে এসে পোস্টার দেখলাম৷ তাতে ভুল তো কিছু বলা নেই৷’
আরও পড়ুন: গ্রামে ঢুকতে বাধা, বীরভূমে জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানাল বিজেপি
পোস্টারের নীচে কারও নাম লেখা না থাকলেও পোস্টার সাঁটানোর নেপথ্যে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছে বিজেপি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিতেছেন বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়৷ আজ মানুষ কত কষ্টে রয়েছেন। কিন্তু দেখা নেই বিধায়কের৷
এ ব্যাপারে হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া চাইতে তাঁকে ফোন করা হয়৷ একবার রিং হতেই ফোন ধরেন তিনি৷ বলেন, ‘নিখোঁজ মানে কি? নিখোঁজ ব্যক্তির সঙ্গে কি ফোনে যোগাযোগ করা যায়? আমরা বিজেপির বিধায়করা সকলেই বিধানসভায় আছি৷ খড়গপুর আমার মনে প্রাণে আছে৷ কয়েকদিনের মধ্যেই যাব৷ খড়গপুরবাসীর জন্য কতটুকু কাজ করেছি, তা তাঁরা জানেন৷’