হাওড়া : ঘুড়ি ওড়াতে মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে আগেই। কিন্তু তার পরেও একাধিক জায়গায় বেআইনি ভাবেই চলছে চীনা মাঞ্জার ব্যবহার। সেই চিনা মাঞ্জায় প্রাণও গেছে একাধিকের। তাই চোরা ব্যবহার রুখতে হাওড়ায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল পুলিশ। ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এখনও বিভিন্ন জায়গায় বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে চীনা মাঞ্জা। যে কারণেই প্রাণ আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে চীনা মাঞ্জা মৃত্যুর খবর নতুন নয়। একাধিকবার মৃত্যুর ঘটনার পরেও সচেতন নয় সাধারণ মানুষ। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে সড়ক কিংবা রাস্তায়। কোথায় নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা বিক্রি হচ্ছে তা জানতে শুরু হয় তদন্ত। মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও দিনভর হাওড়া কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চলে ব্যাপক তল্লাশি।
আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের নয়া চেয়ারম্যান হলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
বৃহস্পতিবার চীনা মাঞ্জা বিক্রির খবর পেয়েই হাওড়ার সাঁকরাইল ডোমজুড় সাঁতরাগাছি লিলুয়া নিশ্চিন্দা গোলাবাড়ি মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকায় সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের নয়া চেয়ারম্যান হলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চিনা মাঞ্জা বিক্রি করা হচ্ছিল বলেই গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশেরা।সেইমতোই আজ তল্লাশি চালাতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেআইনিভাবে চিনা মাঞ্জা বিক্রির অভিযোগে এদিন হাতে নাতে পাকড়াও হয় তাঁরা।
আরও পড়ুন ৩১ অগস্টেই আফগানিস্তানের উদ্ধার অভিযান শেষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
সাম্প্রতি সাঁতরাগাছি ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, বোটানিক্যাল গার্ডেন সহ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় চিনা মাঞ্জা সুতোয় একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। এই মাঞ্জা বিক্রি নিষেধ থাকলেও তা রমরমিয়ে বাজারে বিক্রি চলছিল। অপেক্ষাকৃত কম দাম হওয়ায় সুতোর মাঞ্জার অপেক্ষা চিনা মাঞ্জার ব্যবসা বেশ ভালো। বারে বারে পথচলতি মানুষের বিশেষ করে বাইক আরোহীদের এই মাঞ্জার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। সে কারণেই ঘুড়ি ওড়াতে চিনা মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সিন্থেটিক সুতোও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। চিনা মাঞ্জার ব্যবহার রুখতে একাধিকবার অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ। মাইকে করা হয়েছে প্রচার। তারপরও হুঁশ ফিরছে কোথায়? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।