নন্দীগ্রাম: পুলিসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের জানকীনাথ মন্দির মাঠে ধিক্কার সভা ছিল বিজেপির। সেই সভা থেকে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নন্দীগ্রামের অতীত জানে না বলে আগুন নিয়ে খেলছে তৃণমূল।’ এই সভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন, ‘নন্দীগ্রামের গ্রামে গ্রামে তৈরি হবে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি।’
বিজেপির ধিক্কার সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গেই পুলিসকে নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পুলিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছে বলে নন্দীগ্রামের গ্রামের মানুষের সঙ্গে যা খুশি করবেন, তা শুভেন্দু অধিকারী জীবন থাকতে মেনে নেবে না।’
২৬ নভেম্বর হরিপুরের কিষাণ মান্ডিতে স্থানীয়দের গণ ডেপুটেশন দেওয়ার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। কৃষি আধিকারিককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিস বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে। তারই প্রতিবাদে ছিল মঙ্গলবারের এই এই ধিক্কার সভা।
আরও পড়ুন: বিজেপির নিচুতলায় পিকের কর্মীরা, ‘বিরতি থেকে ফিরে’ ফের বিস্ফোরক তথাগত
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরে বাইরে থেকে লোক এনে সভা করে তৃণমূল। অথচ, এই জেলার মানুষকে সভা করতে অনুমতি দেওয়া হয় না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘সবে সকাল হয়েছে বন্ধু, দুপুর এখনও বাকি।’ তাঁর অভিযোগ, ‘সিপিএমের মতোই পুলিস দিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে টিএমসি। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। আমরা কি ছেড়ে দেব?’
নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানান, ১৫ ডিসেম্বর থেকে চার দিন নন্দীগ্রামে ‘গ্রাম চলো’ অভিযান করা হবে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য, পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠন করা। কারণ পুলিশ গ্রামে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির গ্রুপ-সি নিয়োগেও দুর্নীতি! বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বদেশরঞ্জন দাস পালটা কটাক্ষ করে বলেন, ‘ধিক্কার যদি জানাতে হয়, তা হলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই ধিক্কার জানাতে হয়। গ্রামে গ্রামে পুলিসি সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের নামে নিজেই গুন্ডারাজ শুরু করতে চাইছেন।’ স্বদেশরঞ্জনের দাবি, ধিক্কার দিবসে নন্দীগ্রামের মানুষ শুভেন্দুর পাশে নেই।