ঝাড়গ্রাম: বেলপাহাড়ির পর্যটন স্থল কাঁকড়াঝোড়, লালজল, খাঁদারানী লেকের পাশাপাশি শিলদার একাধিক প্রাচীন স্থাপত্যকে কেন্দ্র করে এবার পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি তুলল শিলদাবাসী। তাঁদের বক্তব্য প্রায় দিনই বিশেষ করে শীতের মরসুমে বহু পর্যটক বেলপাহাড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরতে আসেন, আর বেলপাহাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরেই শিলদা, সেই শিলদার এইসব ঐতিহাসিক স্থাপত্য যেগুলো এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। যদি সেগুলি সরকারের তরফ থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তাহলে বেলপাহাড়ির পাশাপাশি শিলদাতেও আরও একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
আরও পডুন: ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থেকে সুন্দরবনের গোসাবা, দুয়ারে রেশন পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ
ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি লাগোয়া শিলদায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গলমহলের হারিয়ে যাওয়া এক ইতিহাস। অতীতে শিলদায় রাজতন্ত্রের শাসনের প্রমান পাওয়া যায়। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে সেইসমস্ত বহু নিদর্শন। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়,শিলদার পূর্বের নাম ছিল ঝাটিবনি। সাঁওতাল বিদ্রোহের ঘাঁটি ছিল এই শিলদা। শিলদা পরগনায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল।
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ‘দশসালা বন্দোবস্তে’র সময় সরকারি নথিতে দেখা যায় রাজা মানগোবিন্দ মল্লরায় শিলদার জমিদার ছিলেন।
আরও পডুন: পুজোর আগে স্বস্তি জঙ্গল পর্যটনে, করোনা বিধি মেনে খুলছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল
শিলদা রাজবংশের গড়বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অনেকটা এলাকা জুড়ে রয়েছে। তারই চত্বরে রয়েছে কনকদূর্গা মন্দির,রাসমঞ্চ,হাতিশালা ইত্যাদি। মন্দিরগুলির দেওয়ালে শৈল্পিক নিদর্শন এখনও রয়েছে দুশো বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে।