মালদহ: স্ত্রীকে খুন করে লবন দিয়ে মাটির নিচে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন। সেইসঙ্গে কেউ যাতে সন্দেহ না করে সেইজন্য স্ত্রীর নামে থানায় মিসিং ডায়ারিও করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেশীরা গন্ধের উৎস খুঁজতে শুরু করেন। তারপর অবশেষে বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। ঘটনাটি মালদার স্বরূপগঞ্জ গ্রামের মল্লিকপাড়া বাঁধ এলাকার। এই নৃশংস খুনের ঘটনায় মহিলার স্বামী মহম্মদ আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম কালো বিবি। বয়স ৩৫। ধৃত অভিযুক্ত মহম্মদ আলির চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন তিনি। গতকাল দেহের খোঁজ মিললেও সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ার কারণে দেহ উদ্ধার করা যায়নি। তাই বুধবার সকাল থেকেই দেহ উদ্ধারের তোড়জোর শুরু করে পুলিশ। অবশেষে মালদহের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় মৃত কালো বিবির পরিবারের তরফে চারজনের নামে পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্তও। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ জুলাই স্ত্রী কালো বিবিকে হত্যা করেন অভিযুক্ত মহম্মদ আলি। তারপর প্রায় একসপ্তাহ ওপর এভাবেই মাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হয় মৃত মহিলার দেহ। তবে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন পুলিশের সামনে উঠে এসেছে। ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ মহম্মদ আলির সঙ্গে ৩৫ বছরের ওই মহিলার বিয়ে হল কীভাবে? এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ধৃতকে জেরা করছে পুলিশ।