ধূপগুড়ি: করোনা পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন অনিয়মিত অফিস। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঠিকমতো চালু হয়নি অফিস। আধিকারিকরাও নিয়মিত অফিসে আসতে পারেননি। সেই সুযোগে কাজ না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়শালবাড়ির ঘটনা। অভিযোগের তির বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণপদ সরকারের দিকে। করোনার সুযোগে এমজিএনআরইজিএ-এর অধীনে নদী বাঁধের কাজ না করেই টাকা তোলা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি কৃষ্ণবাবু।
তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এটা ১০০ দিনের কাজ। যদি দুর্নীতি হয় তাহলে জড়িত রয়েছেন প্রধান। আর ওখানে কাজ করা হয়েছে। আমাকে ও দলকে বদনাম করতে কুৎসা রটানো হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান সুশীলকুমার রায় বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিওকে লিখিত আকারে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা ব্যাঙ্ক কর্মীকে, অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঝাড়শালবাড়ি ডুডুয়া নদীর তীরে কাজের জন্য বোর্ড লাগানো হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। উল্টে কাজ না করেই তোলা হয়েছে বিল। প্রায় ২২ লক্ষ টাকার কাজ। ইতিমধ্যেই গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও এবং থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁদের বক্তব্য, যদি কাজ হতো তাহলে এলাকার সাধারণ মানুষ কাজ করতে পেত। কিন্তু কাজ হয়নি, অথচ তোলা হয়েছে টাকা। তাঁরা চান, ঘটনার তদন্ত করা হোক। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: দোকানের নাম শ্রীনাথ ধোসা সেন্টার রাখায় মথুরায় মুসলিম বিক্রেতাকে হুমকি
বিজেপির জেলা সম্পাদক আগুন রায় বলেন, দল কোনও রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে, তবে উপযুক্ত তদন্ত করা হোক। তাঁর বক্তব্য, যদি ঘটনাটি ঘটে থাকে, তবে এতে শুধু পঞ্চায়েত সদস্যই জড়িত, এমনটা হতে পারে না। শাসক দলের একাংশ ও অফিস কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়।