দুর্গাপুর : পুরীর সমুদ্র সৈকতে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় বালু শিল্প। যখন যে ঘটনা ঘটে, তখন সেই ঘটনাকে বিষয় করে শিল্পীরা বালি ও জল ব্যবহার করে নিজেদের ভাবনার প্রকাশ ঘটায়। কিন্তু এই বালু শিল্প শুধু পুরীর সৈকতে আটকে থাকল না। কিন্তু সম্প্রতি এমনই এক বালু শিল্পীর দেখা মিলল দুর্গাপুরে। নিজের শিল্প প্রদর্শনের জন্য তিনি সমুদ্র সৈকত না পেলেও পেয়ে গেছেন দামোদর নদীর পাড়।
এ এক অন্য জীবনানন্দ। পুরো নাম জীবনানন্দ রায়। বাড়ি দুর্গাপুরে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন শিল্পী। সিমেন্ট ও মাটি দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করা ছিল বাবার কাজ। বাবার কাছে তাঁর হাতে খড়ি। দামোদরের তীরে বালিকে ভালবেসে এই মেঘলা দিনেও মূর্তি তৈরি করেন জীবনানন্দ। বিগত পাঁচ বছর ধরে দুর্গাপুরের দামোদর নদীর পাড়ে বালি দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন একের পর এক কারুকার্য। অবশ্যই একটু বর্ষা হলে ভাল হয় তাতে মূর্তি তৈরি করতে সুবিধা হয় বলে জানান তিনি। তবে এই বালু শিল্প কিন্তু জীবনানন্দের পেশা নয়। তিনি এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেন। কাজের অবসরের ছুটে চলে আসেন দামোদরের পাড়ে। সেখানে বালির ওপর একের পর এক বিভিন্ন দেবদেবীর, খেলোয়াড়, মনীষীদের মূর্তি তৈরি করে চলেছেন বালু শিল্পী জীবনানন্দ রায়। পুরীর সমুদ্র কিনারে তৈরি করা বালুর কারুকার্য দেখে উৎসাহ পান জীবনানন্দ। আগামীদিনে নিজের এই শিল্পকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশায় এখন বুক বেঁধেছেন শিল্পী জীবনানন্দ রায়।