চন্দননগর : মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছে ২ যুবক। তাদের ফাইবারের স্টিক দিয়ে বেধড়ক মারছে ২ সিভিক ভলেন্টিয়ার। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও খবর পায়নি চন্দননগরের পুলিশ। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ২ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আটক করে পুলিশ।
রবিবার, জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর দিন ঘটনাটি ঘটে। মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় ২ যুবক। তাদের বুকে পেটে লাঠি মারে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পোশাক পরে থাকা ২ যুবক। ভিডিওতে দেখা যায়, ফাইবারের স্টিক দিয়েও মারা হচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনার খবর পৌঁছয় চন্দননগরের পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ জানায় যে, ওই ২ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তারা মোতায়েন করেনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটি ঘটেছিল মানকুণ্ডুতে। সেখানে কোনও একটি ক্লাব থেকে দুই যুবক বিপিন কুমার ও আদিত্য মালিককে দশমীর দিন নিরাপত্তার কাজের জন্য রাখা হয়েছিল। চন্দননগরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে এদের দু’জনের কোনও সম্পর্ক নেই। যে হালকা নীল রঙয়ের পোশাক পরে ছিল তারা, সেগুলি এনসিসি’র। গত সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাইবারের স্টিক দিয়ে মারার কথা স্বীকার করে নিয়েছে তারা। তাদের দু’জনকে আজ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : মোবাইল চুরির অপরাধে ২ যুবককে সিভিক ভলেন্টিয়ারের মার, ভাইরাল ভিডিও
চন্দননগরের পুলিশ জানিয়েছে, কোনও বড় ক্লাব বা সংস্থা হলে তারা নিজেরা বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে আসেন। চন্দননগর ও মানকুণ্ডুর বেশ কিছু ক্লাবে এই ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। কিন্তু একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় পুরো দোষটাই এসে পড়ে চন্দননগরের পুলিশের উপর। ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করে চন্দননগর বলে দেওয়ায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ চন্দননগরের পুলিশ।