পশ্চিম মেদিনীপুর: মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার বড়ডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। বুধবার দুপুরে বস্তাভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিস। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস জানায়, এদিন দুপুরে বড়ডাঙ্গা গ্রামে জমি সমতল করতে মাটি কাটছিল গ্রামবাসিরা। সেই সময় কোদালে কিছু ধাতব বস্তুর সঙ্গে ঠোকাঠুকি হয়। সন্দেহ হওয়াতে মাটি খুঁড়ে দেখা যায়, বস্তাবন্দি অবস্থায় কিছু পোঁতা রয়েছে মাটিতে। সেই বস্তা থেকে বেশ কিছু দোনলা বন্দুক এবং প্রচুর কার্তুজ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়ালতোড় থানার পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস বস্তাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জেলার পুলিস সুপার দীনেশ কুমার জানান, ৩৬টি বন্দুক এবং ৪৫০ কার্তুজ পাওয়া গেছে। পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই এক সময় সিপিএমের গুন্ডা বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। সেই সব ক্যাম্প থেকে অস্ত্রশস্ত্র মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান বাসিন্দাদের। একই অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরও। স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম কৌড়ি আবার একধাপ এগিয়ে ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: katwa: কাটোয়ায় বিক্ষোভের মুখে গ্রামছাড়া সাংসদ, ‘চোর’ অপবাদ
মেদিনীপুরের এক সময়কার দাপুটে নেতা গড়বেতা-খ্যাত সুশান্ত ঘোষ বলেন, গোয়ালতোড়ে কখনওই অস্ত্রের রাজনীতি ছিল না। জঙ্গলমহলে অস্ত্রের রাজনীতির আমদানি করেছিল মাওবাদীরা। তাকে প্রতক্ষভাবে মদত দিয়েছিল তৃণমূল। তখনকার পুলিসি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটির অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন ছত্রধর মাহাত। পরে ছত্রধরকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক করা হয়। এর থেকেই বোঝা যায়, মাওবাদীদের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কতোটা ঘনিষ্ঠ ছিল।