উত্তর দিনাজপুর: মহানবমীর পুজো জোর কদমে চলছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরের ঘোষ বাড়িতে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা বাড়ি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই ব্যস্ত পূজাকে ঘিরে। গতকাল অষ্টমীতে কুমারী দেবী সেজেছিল ছোট্ট অদিত্রী তলাপাত্র। সাত বছর বয়সে ছোট্ট অদিত্রীকে দেখতে উৎসাহ ছিল এলাকাবাসীর মধ্যে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, স্বাধীনতার সময় এলাকাটির অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা ছিল। কালিয়াগঞ্জ ভারতের মধ্যে পড়বে নাকি পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে বেজায় চিন্তিত ছিল সেখানকার স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে আরও একটি সমস্যা ছিল ওই এলাকায় বাঘের উৎপাত। দেশভাগের দুশ্চিন্তা শরণার্থী যন্ত্রনা আর বাঘের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন সতীশ চন্দ্র ঘোষ।
আরও পড়ুন: ষোড়শ শতকে সূচনা, কালের বদলে একবিংশেও অব্যাহত বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো
কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর এলাকাটি যেনো ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় । স্বাধীনতার সময় এটাই ছিল দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা। তারপর দেশ স্বাধীন হল। বেড়াজালে বিভক্ত হল দেশ। ভারতের অন্তর্ভুক্ত হল কালিয়াগঞ্জ। তারপর থেকে প্রায় সাত দশক পেরিয়ে গেছে। তবুও নিষ্ঠা ভক্তির আজও সেই ধারা বজায় রেখেছে ঘোষ বাড়ি দুর্গাপূজো।
আরও পড়ুন: এক উঠানে সাত প্রতিমা, ভট্টাচার্য বাড়ির প্রাচীন পুজো কেতুগ্রামের খাটুন্দী গ্রামের মূল আকর্ষণ