জলপাইগুড়ি: শারদোৎসবের শেষদিন আজ বৃহস্পতিবার। তাই নবমী পুজোয় সেজে উঠেছে জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীতে। এদিন সকালেই অনুষ্ঠিত হল নবমী পুজো। পুজো উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে শহরবাসীর আনাগোনাও চোখে পড়ে।
ঐতিহ্যশালী এই পুজোটি এবার ৫১২ বছরে পদার্পণ করল। রাজপুরোহিত শিবু ঘোষাল বলেন, ‘’বৃহস্পতিবার নবমীর পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।। পাশাপাশি এদিনই সন্ধ্যা আরতি অনুষ্ঠিত হবে। মহাষ্টমীতে অর্ধরাত্রি পুজো হয়েছিল। নিয়ম মেনে হবে সন্ধিপুজোও।‘’
করোনা বিধির জন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। জানা গিয়েছে, মন্দিরের বাইরে থেকেই সকলে পুষ্পাঞ্জলি ও পুজো দিতে পারবেন। তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মন্দিরের ভেতরে যারা প্রবেশ করবেন তাঁদের প্রত্যেককেই মাস্ক ও ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক। এমনটাই জানান মন্দিরের রাজ পুরোহিত।
আরও পড়ুন: এক উঠানে সাত প্রতিমা, ভট্টাচার্য বাড়ির প্রাচীন পুজো কেতুগ্রামের খাটুন্দী গ্রামের মূল আকর্ষণ
আজ থেকে প্রায় ৫ শতক আগে এই পুজোর প্রচলন হয় বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে। ভারতে তখন মুঘলদের রাজত্ব চলছে পুরোদমে। সেই সময় জলপাইগুড়ির নাম ছিল বৈকুন্ঠপুর। ষোড়শ শতকে সেই বৈকুন্ঠপুরের রাজার হাত ধরেই সূচনা হয় পুজোর। সেই সময় নরবলীর প্রচলন থাকলেও আজ তা আর হয় না। তবে কালের পরিবর্তন হলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজও ঐতিহ্যশালী এই দুর্গা পুজোর ধারা বজায় রেখেছে জলপাইগুড়ি।
আরও পড়ুন: মাটির সরায় তৈরি দেবী দুর্গাই এখন আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে
অষ্টমী ও দশমীর এখানে শহরবাসীর ভিড় জমে মন্দির প্রাঙ্গণে। অষ্টমীর প্রেম, আড্ডা থেকে দশমীর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে শহরের যুবসম্প্রদায়। পুজোর দিনগুলিতে খুশির ছোঁয়া মেলে রাজবাড়ি চত্বরে।