কালিয়াগঞ্জ: অনুষ্ঠানবাড়ির চায়ে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন নিমন্ত্রিত। শুধু তাই নয়, পোষ্য একটি গোরু ও ছাগলের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় কালিয়াগঞ্জের তিলগাঁও গ্রামে।
শুক্রবার সকালে এই ঘটনার পর মহিলা ও শিশুসব মোট ৩৭ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেরে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থদের চিকিৎসার তদারকি করতে হাসপাতালে আসেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, ব্লক ও শহর তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য এবং সুজিত সরকার, ভাণ্ডার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উত্তম ঘোষ প্রমুখ। বিষক্রিয়ায় অসুস্থদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে আসেন কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রসূনকুমার ধারা, আইসি দীপাঞ্জন দাস এবং এসডিপিও রিদিং লেপচা।
কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস রায় জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নিয়ে অসুস্থ মোট ৩৭ জনকে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ২৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ বোধ করলে অবর্জাভেশনে রাখার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে তিলগাঁয়ের বাসিন্দা আইনুল আলি জানান, এদিন তাঁদের গ্রামের এক বাড়িতে নামকরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অতিথিদের সকালে লাল চা হয়েছিল। অনেকেই সেই চা পান করেছিলেন। কিন্তু চায়ের স্বাদ অন্যরকম মনে হওয়াতে বাকি চা ফেলে দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত ফেলে দেওয়া সেই চা খেয়ে কিছুক্ষণ বাদে অসুস্থ হয়ে একটি গোরু ও ছাগলের মৃত্যু হয়। এসবের মধ্যেই সকালে চা পান করেছিলেন, এমন অনেকের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপরেই অসুস্থদের কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে আনা হয়।