রাজ্য সরকারের ধার্য্য করা মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে করোনার টিকা নেওয়ার হিড়িক বর্ধমান শহরে। যেখানে বহু মানুষ করোনা টাকা নেওয়ার জন্য হন্যে হয়ে টিকার সন্ধান ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কলকাতার কিছু প্রতিষ্ঠান ক্যাম্প করে অধিক মুনাফা তুলছে। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের সংস্থার হয়ে প্রচার করছে। সোমবার বর্ধমান শহর ও শহরের উপকণ্ঠে টিকা দেওয়ার জন্য ক্যাম্প করে, কলকাতার মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী যা বেআইনি। কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ, নির্দিষ্ট কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টারের বাইরে টিকা দেওয়া যাবে না।
Read more : রাজ্যে এল আরও ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড
এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের বেঁধে দেওয়া টিকার মূল্যের থেকে অধিক মূল্য নেওয়া হচ্ছে। যেমন কোভিশিল্ডের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৮০ টাকা। কিন্তু এই ক্যাম্পে সিরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ডের দাম নেওয়া হচ্ছে ৯৫০ টাকা। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫৫০ টাকা। অথচ কেন্দ্রর বেঁধে দেওয়া দাম ১৪১০ টাকা। এভাবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কোভিড টিকার সরকারি মূল্যর চেয়ে বেশি দাম নেওয়াকে ভালো চোখে দেখছেন না মানুষ। বলছেন, সমাজসেবার নাম করে কার্যত সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে। এদিন স্থানীয় একটি ক্লাব সবুজ সংঘ ও মুকুন্দপুর আমরির যৌথ উদ্যোগে এই ক্যাম্প করা হয়।
Read more : জুলাইয়ে শিশুদের জন্য শক্তিশালী ভ্যাকসিন
টিকা নিতে আসা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, টিকার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত টিকা না থাকাতেই প্রাণের তাগিদে অধিক মূল্যের বিনিময়ে টিকা নিতে হচ্ছে। এখন দেখার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এবিষয়ে কি ভাবেন। স্থানীয় যে ক্লাবের উদ্যোগে এই টিকার জন্য ক্যাম্প করা হয়েছে, সেই সবুজ সংঘের কর্মকর্তা বিপ্লব রায়কে অধিক মূল্য নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের এক্তিয়ারে নেই। এবিষয়ে আমরি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে বলে জানান তিনি। তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চায়নি আমরি কর্তৃপক্ষ। টিকার মূল্য অর্থশালী ও উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যে হলেও, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষরা কি ভাবে অর্থ যোগাড় করে টিকা নেবেন। উঠছে প্রশ্ন।