গলসি: পূর্ব বর্ধমানের গলসির সন্তোষপুরের অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সিআইডির বিশেষ ফরেনসিক দল। এই দলে সিআইডির ইন্সপেক্টর শৈবাল বাগচী-সহ চার জন আধিকারিক রয়েছেন। এই দলে রয়েছেন একজন ফটোগ্রাফার ও দুজন ফিঙ্গারপিন্ট বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার এই দল গলসি থানায় আসে। তারপর থানার এক অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে দলটি সন্তোষপুরের গ্রামে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও গাড়িগুলি পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
গলসির এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিস হেফাজত নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, ধৃতদের মধ্যে অনেকেই নির্দোষ। তাদের অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মুহূর্তে সন্তোষপুর এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
রবিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসির সন্তোষপুরে খুন হন উৎপল ঘোষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করা উৎপলকে। মৃতের আত্মীয় শম্ভুনাথের দাবি, বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে উৎপলের দেহ উদ্ধার হয়। তখনও মাথায় কুড়ুল গাঁথা ছিল।
আরও পড়ুন: School Service Commission: শান্তিপ্রসাদের সিবিআই হাজিরা বহাল, বিচারপতি এস পি তালুকদার মামলা শুনবেন
জানা গিয়েছে, একই গ্রামের বাসিন্দা গ্যাঁড়া বাগদি তাঁকে রাত ন’টা নাগাদ ডেকে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর পাড়ার লোকজন উৎপলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর সোমবার বিকেলে দেহ গ্রামে পৌঁছতেই অভিযুক্তদের তিনটি বাড়িতে ও দুটি ট্রাক্টর ও বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।