দক্ষিণ ২৪ পরগণা: মাথার উপর বর্ষার মেঘ৷ মোহনায় খেলে বেড়াচ্ছে ইলিশের ঝাঁক৷ অথচ সমুদ্রে যেতে পারছে না ট্রলার৷ জালে তুলতে পারছে না রুপোলি শস্যকে। বঙ্গের পাতে তাই খানিকটা হলেও কম পড়ছে ইলিশ। কাকদ্বীপের মৎসজীবীদের জীবন জীবিকা নিয়ে তাই সংশয়। টিমে তালে টিকাকরণের কাজ কেড়ে নিচ্ছে জীবিকা৷ জীবিকার টানে প্রতিদিন জীবন বাজি রাখেন, সেই মৎস্যজীবীরা অতিমারির কোপে টিকা নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে নাজেহাল। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন মৎসজীবীরা। তবু পাচ্ছেন না টিকা। অবিলম্বে টিকাকরণের দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কাকদ্বীপের মৎসজীবীরা৷ পুলিশি আশ্বাসে অবশ্য উঠে যায় বিক্ষোভ৷
আরও পড়ুন মৎস্যজীবী হত্যা মামলায় সুপ্রিম যবনিকা
বর্ষার মরসুমে উপকূল থেকে প্রায় ৩ হাজার ট্রলার ভিনরাজ্যের উপকূলে মাছ ধরতে পাড়ি দেয়৷ ১৫-১৬ দিন গভীর সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায় ইলিশ মাছের আশায়৷ বছর দু’য়েক ইলিশের দেখা মেলেনি৷ আগে প্রতি ট্রিপ ট্রলারে মৎসজীবীরা পেতেন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা৷ বেড়েছে জ্বালানি দাম, এখন প্রতি ট্রিপে ৫ হাজারে এসে ঠেকেছে উপার্জন৷ দু’পয়সা বেশি রোজগারের আশায় রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে যেতে হয় ভিনরাজ্যে৷ ট্রলারের তুলনায় মৎসজীবীর সংখ্যা অনেকটাই বেশী, ফলে কাজর সুযোগ হয় না সবার৷ একটি ট্রলারে ১৫ থেকে ১৬ জন মৎসজীবী পাড়ি দেন সমুদ্রে। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় মৎসজীবীদের টিকাকরণ প্রয়োজনীয়৷ বাঙালির পাতে তেলেঝোলে ইলিশের স্বাদ তুলে ধরেন যাঁরা ভরা মরশুমে টিকা পেতে নাজেহাল হচ্ছেন তাদেরকেই৷