বোলপুর: দুবরাজপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ ফুটবল খেলার মাঠ দখলকে কেন্দ্র বোমাবাজি,গুলি চলেছে৷ মঙ্গলবার বিকেলে এ কথা জানালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অবুব্রত মণ্ডল৷
গুলি, বোমাবাজিতে পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়াগ্রামে কমপক্ষে ৬জন গুরুতর জখম হয়৷ তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ব্লক অফিস থেকে আবাস যোজনার সার্ভেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুই গোষ্ঠীর পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে৷ গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ পরে জেলা তৃণমূল সভাপতিও সংঘর্ষের সঙ্গে তৃণমূল যোগ অস্বীকার করেছেন৷ অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘ফুটবল খেলার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, গুলি চলে৷ এই ঝামেলা ২০০৯ সাল থেকে চলছে। দু’পক্ষই মাঠের দাবিদার৷ তা নিয়েই দ্বন্দ্ব। উভয় পক্ষই তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু, সংঘর্ষের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও ব্যাপার নয়।
এ দিনের সংঘর্ষের কারণও ব্যাখ্যা করেন অনুব্রত৷ তিনি বলেন, ‘বিএলআরও দফতর থেকে জমি মাপতে আসে৷ তখনই দু’পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক বচসা থেকে সংঘর্ষ৷ আমি পুলিসকে বলেছি। পুলিস ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পুরো বিষয়টি পুলিস দেখছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ব্লক অফিসের প্রতিনিধিরা পদুমা অঞ্চলে বাংলা আবাস যোজনার সার্ভে করতে আসেন৷ অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গাড়াগ্রামের বুথ সভাপতি গফ্ফর খানের এলাকায় সার্ভে শুরু হয়৷ তখন পদুমা অঞ্চলের কার্যকরি সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের লোকজন এসে নিজেদের এলাকায় আগে সার্ভের দাবি জানায়৷ যা নিয়ে দুই পক্ষের প্রাথমিক বচসা থেকে বাঁশ,লাঠি নিয়ে হামলা শুরু হয়৷ মহিলাদেরও বাঁশ, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায়৷ বেশ কিছুক্ষণ এ রকম চলার পর বোমা ও গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়৷
আরও পড়ুন-রাজ্য-রাজ্যপাল ফের সংঘাত, কমিশনকে কড়া চিঠি ধনখড়ের
দেখা যায়, মুকুল ঘনিষ্ঠা যারাফাত খান, আসরাফুল খান, আলাম খান, ইদমহম্মদ খান, গোলাপ খান, ফারুক খান বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন৷ তাঁদের উদ্ধার করে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু, যারাফাত খান ও আসরাফুল খানের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন-বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা নেই সিপিএমের, ত্রিপুরায় দাবি অভিষেকের
এ দিকে তল্লাশি অভিযানে খবর লেখা পর্যন্ত ৫ জন আটক করেছে বীরভূম পুলিস৷ ধৃতদের মধ্যে ৩ জন অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ঘনিষ্ঠ৷ বাকি দু’জন তরুণ গড়াই গোষ্ঠীর৷ পুলিস সূত্রের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে৷