জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের( Dooars) রাভা জনজাতি( Rava tribe) অধ্যুষিত জঙ্গল-ঘেরা বনবস্তির উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনার অনুমোদন রাজ্য সরকারের(State Government) পর্যটন দফতরের( tourism)। সাস্টেনেবেল ট্যুরিজমের মধ্য দিয়ে রাভা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত খুঁটিমারি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে হোম স্টের অনুমতি দিল রাজ্য পর্যটন দফতর।
ডুয়ার্সের মরাঘাট রেঞ্জের খুঁটিমারি বিট। এখানে রয়েছে জঙ্গল-ঘেরা বেশ কয়েকটি গ্রাম। মূলত রাভা জনজাতির মানুষের বাস এই গ্রামগুলোতে। যার মধ্যে অন্যতম মেলাবস্তি। আর এই মেলাবস্তি সংলগ্ন এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে ৮টি হোম স্টের অনুমোদন মিলেছে রাজ্য পর্যটন দফতরের কাছ থেকে। এমনটাই জানালেন ডুয়ার্সের ভূমিপুত্র তথা প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং বনজঙ্গল-পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পাশে থাকা তমাল গোস্বামী।
শুধুই কি ভ্রমণ! না তা নয়। ডুয়ার্সের জঙ্গল এবং বন্য জীব-জীবনকে কাছ থেকে চাক্ষুষ করতে আসা দেশবিদেশের পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা এই অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি, রাভা নৃত্য। যে নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় রাভা জনজাতির সামাজিক বিভিন্ন বিষয়।
রাভা নৃত্য
ইতিমধ্যেই শহরের কোলাহল থেকে একটু শান্ত পরিবেশে স্থানীয় মানুষের আন্তরিক আতিথেয়তায় কটা দিন কাটিয়ে দিতে সপরিবারে খুটটিমারীর মেলাবস্তির একটি হোম স্টেতে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক দেবজিৎ ঘোষ। ভারতীয় ফুটবল দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, শুধু বেড়াতে আসাই নয়, এই গ্রামগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক প্রতিভা।
আরও পড়ুন: District weather: ঠান্ডায় কালিম্পংকে হারাল শ্রীনিকেতন, পৌষে মজেছে বাঙালি
এককথায় বলা যায়, রাজ্য সরকারের পর্যটন শিল্পে এক নতুন জোয়ার আনতে চলেছে খুঁটিমারি জঙ্গল সহ ডুয়ার্স। বিভিন্ন বনবস্তিগুলোতে শুরু হওয়া পর্যটনের নতুন রূপ সাস্টেনেবল ট্যুরিজম। এই প্রসঙ্গে কলকাতার এক পাহাড়প্রেমী যুবক অনেকটাই দিশা দেখিয়েছেন। বেহালার বাসিন্দা প্রশান্ত মল্লিক, যাঁকে বর্তমানে চুইখিম নামেই বেশি চেনে মানুষ। কারণ এই যুবকের লাগাতার প্রচেষ্টায় কালিম্পংয়ের একটি দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম আজ নেশার কবল থেকে মুক্ত হয়ে সাস্টেনেবেল ট্যুরিজমের হোম স্টের মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে চুইখিম নামটি তুলে ধরতে পেরেছে।