কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রতিদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাতেও সম্বিত ফিরছে না মানুষের। রোজ মাইকিং, প্রচার, ধরপাকড়ের পরও সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনা ফেরানোর নিট ফল শূন্য। মাস্ক পরা নিয়ে মানুষের এই অনীহাই কাল হতে চলেছে।
সোনারপুর পুর এলাকায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় সমস্ত বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বাজার এলাকা পরিদর্শন করে পুলিস। গড়িয়া বাজারে যৌথভাবে পরিদর্শন করলেন বিধায়ক ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আজ এবং ৭, ১০ ও ১১ জানুয়ারি সমস্ত বাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। শুধুমাত্র ইমারজেন্সি পরিষেবা চালু থাকবে। এই সময় বাজারগুলি স্যানিটাইজ করার কাজ করবে পুরসভা। কোভিড বিধি রুখতে মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতনতা চালাবে প্রশাসন। মাস্ক ছাড়া কেউ বের হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন সাতসকালেই গড়িয়া বাজার পরিদর্শন করলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। মাস্ক ছাড়াই আজও অনেকেই বাইরে বের হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে।
আরও পড়ুন: Gujarat: রাসায়নিক লিক করে দুর্ঘটনা গুজরাতে, মৃত ৬ শ্রমিক, আহত ২০
করোনাকে লাগাম পরানোর জন্য হাওড়া শহরে থানাভিত্তিক সাপ্তাহিক লকডাউন করা হয়েছিল। এলাকায় সাপ্তাহিক লকডাউনের মধ্যেও সাঁতরাগাছি স্টেশনের উল্টোদিকে দুটি হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল দেদার ব্যবসা। বাইরে বিরিয়ানির হাঁড়ি রেখে ভেতরে সুসজ্জিত ভাবে বিক্রিবাট্টা চলছিল। ঢিল ছোড়া দূরে জগাছা থানা। পুলিসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একটি রেস্তরাঁয় দেখা গেল পিছনের গেট দিয়ে দেদার ঢোকানো হচ্ছে গ্রাহকদের। শুধু করোনা বিধিভঙ্গই নয়, রেস্তরাঁয় শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া তারা ভিতরে গাদাগাদি করে বসে রয়েছে। সংবাদমাধ্যম থানাকে খবর দিলে তড়িঘড়ি করে পুলিস এসে তা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তবে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে পুলিসের নজর এড়িয়ে কীভাবে তারা ব্যবসা চালাচ্ছিল।
বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২১ জন। গতকাল বর্ধমানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯ জন। একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ায় সকাল থেকেই তৎপর জেলা প্রশাসন। কাটোয়া ও কালনার বিভিন্ন জায়গায় এদিন প্রচার চলে জোরকদমে। মাস্ক না পরায় বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিস।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছে বাঁকুড়ায়। জেলার দৈনিক সংক্রমণ সেঞ্চুরি ছাড়াল। শহরেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। তারপরও বাঁকুড়া শহরে মানুষের অসচেতনতার ছবি স্পষ্ট। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে মাস্কবিহীন পথচারীদের আটক করা শুরু করল পুলিস।