কোচবিহার: ফের কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে সরব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে ল্যাং মারার অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি। শুধু তাঁকে নয়, মিহির গোস্বামী, বিনয় বর্মন, গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, সকলেরই কাঁধে চেপে বসেছিলেন পার্থপ্রতিম রায়। রবিবার কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চ থেকে এমনটাই মন্তব্য করলেন ওই প্রবীণ নেতা।
এদিন মে দিবস উপলক্ষে কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে আইএনটিটিইউসির একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখার সময়ই জেলা তৃমমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নাম না করে তিনি বলেন, ‘কাকে কাকে ল্যাং মারেননি তিনি! প্রথমে আমাকে ল্যাং মারলো। তারপর মিহির গোস্বামীকে ল্যাং শুধু মারেনি, দল থেকে তাড়ালো। তারপর বিনয় বর্মনের ঘাড়ে চেপে বসলো। তাকে দল থেকে তাড়ালো। তারপর উনি নিজেই আসনে বসলেন। তারপর গিরীন্দ্রনাথ বাবু এলেন। তিনি খুব সাদাসিধে মনের মানুষ। তাকেও তিনি ছাড়লেন না’। এদিনের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পার্থপ্রতিম ঘোষ।
সূত্রের খবর, এদিন এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি পরিমল বর্মন, মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি খোকন মিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক অর্ঘ্য রায় সহ জেলার অনান্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Khargone Violence: হিংসা রুখতে নজর, ইদের দিন কার্ফু জারি মধ্যপ্রদেশের খারগোনে
সম্প্রতি কোচবিহার তৃণমূলের নতুন কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ ১১ জনের কোর কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নাম রয়েছে পার্থপ্রতিমের৷ এরপরই জলের অন্দরে কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। গত বৃহস্পতিবারই নাম না করে পার্থপ্রতিম রায়কে আক্রমণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ডাকা এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পুটি মাছের জীবন যতক্ষণ, উনিও সভাপতি ততক্ষণ৷’
রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই তৃণমূলে হাতেখড়ি হয়েছিল পার্থপ্রতিমের৷ এখন তাঁদের মুখ দেখাদেখিই প্রায় বন্ধ৷ পার্থ-রবির কাজিয়া কোচবিহার ছাড়িয়ে এখন রাজ্য তৃণমূলের অন্দরেও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷