কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বড়দিন(Christmas) মানেই ছুটি। দল বেঁধে ঘুরতে যাওয়া। শীতের আমেজ গায়ে মেখে আট থেকে আশি মজেছে বড়দিনের(Christmas celebration) ছুটিতে। উত্তববঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় জমিয়েছে বহু মানুষ। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ধরা পড়েছে একই ছবি।
২৫ ডিসেম্বরের দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার কঙ্কনা বিনোদন পার্কে আনন্দে মেতে উঠেছে মানুষ। এদিন পিকনিক করতে হাজার তিনেক মানুষ হাজির হয়েছিল এই পার্কে। বিনোদনের সব উপকরণ রয়েছে এখানে। বোটিং, স্লাইডিং সহ শিশুদের জন্য রয়েছে নানান খেলা। করোনা আতঙ্ক ভুলে বড়দিনের অনাবিল আনন্দে মজেছে মানুষ। ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ধরা পড়ল সেই ছবি।
আরও পড়ুন: Deucha Pachami: দেউচা-পাঁচামিতে জোরাল হচ্ছে আন্দোলন, পথে আদিবাসী মহিলারা
বড়দিনের সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, মৌসুনি দ্বীপ ও হেনরি আইল্যান্ডের পর্যটক কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের মাহিনগর ক্যাথলিক চার্চে মহাসমারোহে পালিত হল প্রভু যীশুর জন্মদিন। মাহিনগর এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল যথেষ্ট।
বড়দিনের উৎসবে মজেছে আসানসোলের মানুষজন। আলোর মালায় সেজে উঠেছে শহরের মূল কেন্দ্র হাটন রোড মোড়ের চার্চ। বড়দিনের মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে সকাল থেকেই সেই চার্চে ভিড় জমিয়েছেন শহরবাসী। আসানসোলের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও ঠিক একই ছবি। দুর্গাপুরের বিভিন্ন চার্চে ভিড় জমিয়েছে প্রচুর মানুষ। শুধু চার্চ নয়, একাধিক পার্ক ভরে উঠেছে মানুষের কোলাহলে। তবে ক্রমশই ভিড় বেড়ে যাওয়ায় করোনা আতঙ্কে দুপুরের পর থেকে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার চার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভিড়ের মাঝে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক ছিল প্রশাসন।
বড়দিনে মানুষের ঢল
শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে নেমেছে পর্যটকদের ঢল। এদিন পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী জয়চণ্ডী পাহাড়ে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এসেছেন হীরক রাজার দেশে। প্রাচুর্য ও জৌলুসের আড়ম্বরে নয়, ঐতিহ্য আর পরম্পরা মেনে পুরুলিয়ার বলরামপুরের ইউনাইটেড মিশনারি চার্চে পালিত হয়েছে বড়দিনের উৎসব।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি যীশুর জন্মদিনে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে উৎসবের মেজাজে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ। জঙ্গল মহলের সারেঙ্গা থেকে বাঁকুড়া শহর সর্বত্র রংবেরংয়ের বেলুন আর আলোকমালায় সেজে উঠেছে চার্চগুলি। সেখানে সকাল থেকে চলে বিশেষ প্রার্থনা। উপস্থিত ছিল অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ। বাঁকুড়া শহরের সেন্ট্রাল চার্চেও ভিড় ছিল বিস্তর।
আলোর মালায় সেজে উঠেছে রাজ্য
বড়দিনের উৎসবে মানুষের ঢল মায়াপুর ইসকনে। সকাল থেকেই ছুটির মেজাজে আট থেকে আশি সকলেই। করোনার ভয়কে দূরে রেখেই আজ বড়দিনের খুশিতে আত্মহারা সবাই।
শনিবারের বড়দিনের পরই জুড়েছে রবিবারের ছুটি। শুক্রবার থেকেই করোনার ওমিক্রন আতঙ্ক সরিয়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছে সৈকত শহর দিঘায়। পূর্ব মেদিনীপুরে উপকূলের অন্য পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণি, তাজপুরেও একই ছবি। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে পুলিস।
বড়দিনে মেতে উঠেছে উত্তরবঙ্গও। সেজে উঠেছে চারিদিক। ক্রিসমাস থেকে নিউ ইয়ার, এই সময়ে দার্জিলিংয়ে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। গত দুবছরের ঘাটতি মিটিয়ে এবারেও সাজো সাজো রব উত্তরবঙ্গে। ঝলমলে আলোয়ে সেজে উঠেছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন গির্জা। নিয়ম মেনে বড়দিন পালিত হচ্ছে সেখানে। বড়দিনে গির্জার বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন একাধিক পর্যটক।
আরও পড়ুন: BJP: সায়ন্তনের পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপির ৫ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক
উত্তরবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ডুয়ার্সেও দেখা গেল প্রচুর ভিড়। বড়দিনের সকাল থেকেই ডুয়ার্সের মূর্তিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। ডুয়ার্সের মূর্তি, চাপড়ামারি জলদাপাড়া, গরুমারা-সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, পিকনিকপ্রেমী মানুষ ভিড় জমায় বিভিন্ন নদীর ধারে।