কাটোয়া: বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর রাজ্য সভাপতি বদল করেছে গেরুয়া শিবির। দিলীপ ঘোষের জায়গায় আনা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। তবে তার পরেও থামছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোটের আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমানে বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। ভোটের ফলপ্রকাশের পর তা বাড়ছে বই কমছে না!
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির কর্মিসভাকে ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনের হাতাহাতিতে জড়ালেন কর্মী-সমর্থকরা। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হল।
আরও পড়ুন: ফের ‘ভুয়ো’ ছবি, এ বার ভাইরাল আমেরিকার সংবাদপত্রে মোদির ছবি সহ ‘প্রশস্তি’
জেলাস্তরের বিজেপি নেতাদের গায়েও হাতও পড়ে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত অল্প সংখ্যক কিছু কর্মীকে নিয়ে পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে কর্মিসভা শেষ করে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের সাফাই, যারা গন্ডগোল করেছে, তাঁরা বিজেপির কর্মী নয়।
শুক্রবার বেলা ১২টায় দাঁইহাটে বিজেপির বিশেষ সাংগাঠনিক সভা ছিল। বিজেপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, ১২টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও দলের পুরোনো কর্মীদের বলা হয়েছিল ৩টেয় সভা শুরু হবে। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই দলের নতুন ও পুরোনো কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছবি ‘চুরি’, উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন প্রচারে বাংলার ‘মা’-মমতাই ভরসা যোগীর
বিজেপির আদি কর্মীদের অভিযোগ, দলের নতুন কর্মীরা তাঁদের অন্ধকারে রেখে নানা কাজকর্ম করছেন। কাটোয়া থেকে দাঁইহাটে জেলা অফিস স্থানান্তরের বিষয়েও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) বিজেপির আদি কর্মীদের ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিন তারাপীঠ থেকে বেলা ১২টা ৪৫ নাগাদ দিলীপ ও সুকান্ত দাঁইহাটে পৌঁছন। তাঁদের সামনেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা বচসা শুরু করে দেন। পরে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা দিলীপবাবুকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল, ভাঙচুর করা হল সুস্মিতা দেবের গাড়ি