বসিরহাট: মিনাখাঁয় পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল, কালোসোনা মণ্ডল এবং লক্ষীকান্ত মণ্ডল নামে তিন অভিযুক্তকে বামনপুকুর রাজেন্দ্রনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস জানায়, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই পুলিন মণ্ডলকে খুন করা হয় বলে ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিন খুনের প্রসঙ্গে পুলিসের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় ১ মাস আগে পুলিনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে ধৃতরা জানিয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, প্রায় ৯বিঘা জমি নিয়ে পুলিনের সঙ্গে বুদ্ধেশ্বরদের বহুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ওই জমি একটি ট্রাস্টের। বুদ্ধেশ্বর এবং কিছু দুষ্কৃতী জোর করে ওই জমি ভোগদখল করছিল। তা নিয়ে আগে কয়েকদফায় পুলিনের সঙ্গে বুদ্ধেশ্বরের ঝামেলা হয়। তখন থেকেই বুদ্ধেশ্বর দলবল নিয়ে পুলিনকে খুন করার ছক কষে। তারই সুযোগ এসে যায় স্থানীয় একটি মেলার আয়োজন ঘিরে। ঘটনাচক্রে ওই মেলারও উদ্যোক্তা বুদ্ধেশ্বর এবং আরও কয়েকজন। ইচ্ছাকৃতভাবে মেলার চাঁদা তোলার জন্য জোরজুলুম করার একটা ফাঁদ পাতা হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে পুলিন জোরজুলুমের প্রতিবাদ করেন। তখনই পুলিনকে একদফা মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদার জুলুম, প্রতিবাদীকে পিটিয়ে খুন মিনাখাঁয়
মঙ্গলবার রাতে ফের পুলিনকে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই লোহার রড, বাঁশ, লাঠি হাতে নিয়ে তৈরি ছিল কালোসোনা এবং লক্ষীকান্ত মণ্ডল। পুলিন সেখানে পৌঁছতেই তিনজনে মিলে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পিটিয়ে প্রায় আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে তিনজন পালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিস সূত্রের আরও খবর, পুলিন-বুদ্ধেশ্বর বিবাদ মেটাতে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা বসে। কিন্তু তাতে কোনও মীমাংসা সূত্র বেরোয়নি।