হুগলি: করোনার জেরে প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল হুগলির ব্যান্ডেল চার্চ। বড়দিনের আগেই আবার নিজের ছন্দে ফিরছে এই চার্চ। এই বছর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সাধারণ মানুষের জন্য বড়দিন উপলক্ষে চার্চ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বড়দিনের আগে আবার ও উৎসবের পুরানো ছন্দে ফিরতে চলছে হুগলি জেলার ঐতিহ্য এই প্রাচীন গির্জা চত্বর। এমনিতেই গত প্রায় দুবছর বাড়িতে বন্দি বাঙালিরা আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরতে চাইছেন, তাই পুজো বা অন্য উৎসবে কিছুটা হলেও শৈথিল্যতা দেখানো হয়েছে সরকারি তরফেও। এবার বড়দিনে সেই নিয়ম মেনেই বছর শেষের দিনগুলো কাটাতে চাইছেন তারা।
সেই কারণে বড়দিন উপলক্ষে চার্চ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে এলাকা। লাগানো হচ্ছে রংবাহারি ফুলের গাছ। তবে, চার্চের মাঠে যে পিকনিকের ব্যবস্থা থাকে তা এবারও বন্ধ রাখা হচ্ছে। যে কারণে চার্চের বাইরের অংশে সাজানো হবে প্রভু যীশুর জন্মস্থান অর্থাৎ গোশালা। চন্দননগরের আলো দিয়ে মূল চার্চকে সাজিয়ে দেওয়া হবে সরকারি তরফে।
ব্যান্ডেল চার্চের ভেতরের অংশ
বড়দিনের আগের রাতে শুধুমাত্র চার্চের সদস্য খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা মাস্ক পরে চার্চের মূল প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে, সেখানে থাকবে না সাধারনের প্রবেশাধিকার। একই নিয়ম মেনে ২৫ ডিসেম্বর ও পয়লা জানুয়ারি ও চার্চে প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখা হবে। তবে, বছর শেষের দিনগুলো যাতে সাধারণ মানুষ খুব ভালো কাটাতে পারেন তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নিয়ম মেনেই।
আরও পড়ুন – Basirhat: বসিরহাটে অটো রুট উদ্বোধনে এসে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, গাড়ি ভাঙচুর
অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উৎসবের মরসুমের আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়াও নাইট কার্ফু চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোন তৈরিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। নতুন কোভিড ক্লাস্টার চিহ্নিত হলে বাফার জোন চিহ্নিত করতে হবে। জনবহুল এলাকাগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। এরপরে আদৌ জনসাধারণের জন্য বড়দিনে চার্চের দরজা খোলা থাকবে কি না তা এখন সময়ের অপেক্ষা।