বিষ্ণুপুর: শিল্প, সুর ও জীবনের মেলা বিষ্ণুপুর মেলা। পর্যটন, হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্পের মেলা বিষ্ণুপুর মেলা। বাঁকুড়া জেলার প্রাচীন এই ইতিহাস-নগরীতে শুরু হয়েছে ৩৪-তম বিষ্ণুপুর মেলা।
ইতিহাসের শহর, মন্দিরের শহর, হস্তশিল্পের শহর ও সঙ্গীতের শহরে এই মেলা চলবে পাঁচদিন। জেলার হস্তশিল্প, সংস্কৃতি এবং পর্যটনকে তুলে ধরতে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয়েছে এই মেলা। মেলার থিম শতবর্ষে সত্যজিৎ রায়। মেলায় বিষ্ণুপুরের ধ্রুপদ সংগীত থেকে শুরু করে নানান সংগীতের আসর মাতাবেন বিভিন্ন প্রান্তের দিকপাল শিল্পীরা।
বাঁকুড়ার ও বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্প সামগ্রীর বিক্রির স্টল, সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্টল রয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরা হয়েছে মেলার আসরে। সবমিলিয়ে শীতের আমেজ নিয়ে পর্যটনের শহরে জমে উঠেছে বিষ্ণুপুর মেলা।
মেলায় স্থান পেয়েছে বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, নদিয়া, বীরভূম, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গের হস্তশিল্প। বেতের, বাঁশের নানা ধরনের চেয়ার, আরাম কেদারা। একতারাসহ ঘর সাজানোর সামগ্রী। নবীন প্রজন্মের পছন্দের নানান ডিজাইনের ব্যাগ ও ঝুটো গয়নার দোকান। যা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিষ্ণুপুরের তরুণ প্রজন্ম। মেলায় ঘুরতে আসা স্থানীয় দুই তরুণীর মুখে শোনা গেল সেই কথাই।
আরও পড়ুন- Handicraft Fair in other States: বাংলার হস্তশিল্প প্রচারে ভিনরাজ্যে মেলার উদ্যোগ রাজ্যের: মন্ত্রী
তাঁরা জানালেন, গোটা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এই মেলার জন্য। এখানে শিল্পীদের যথাযত মর্যাদা দিয়ে নিয়ে আসা হয়। এখন এই মেলা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, বাইরে থেকেও বহু মানুষ চলে আসেন মেলার টানে। বিশেষত, হারিয়ে যেতে বসা বিষ্ণুপুরী ঘরানার সংগীত শুনতেও কলকাতার বহু মানুষ আসেন এই মেলায়।