দুর্গাপুর: অবৈধ উচ্ছেদে নামল দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড। অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে নগর প্রশাসন কার্যালয়ে ধর্নায় বসেন উচ্ছেদকারীরা। তাঁদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেন কাউন্সিলরাও।
আরও পড়ুন: দুয়ারে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ কর্মসূচি আনছে রাজ্য
দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের দাবি, তাঁদের জমি দখল করে রয়েছে অবৈধ বহু দোকান, বাড়ি। সেগুলিকে উচ্ছেদ করতে উদ্যোগী হন দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। বুধবার সকাল থেকে ডিপিএলের নগর প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে পরিবার নিয়ে ধর্নায় বসে উচ্ছেদকারীরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোক ওভেন থানার পুলিশ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকার নগ্ন ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল
উচ্ছেদকারীদের অভিযোগ, এলাকায় বহু অবৈধ দোকান, বাড়ি রয়েছে। কিন্তু ডিপিএল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নাম করে টাকা চাইছে। যারা টাকা দিতে অক্ষম তাঁদেরই শুধুমাত্র দোকান, বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, একটি বাড়ি সহ দোকানকে নোটিশ দেওয়া পর সময় চাওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়ের আগেই টাকা দিতে না পারায় ওই বাড়ি সহ দোকান ভেঙে দেয় ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাশেই বহু অবৈধ দোকান ও বাড়ি রয়েছে তাদেরকে কেন ভাঙা হল না সেই প্রশ্ন তুলেই ধর্নায় বসে পরিবার। তাঁদের পাশে এসে শামিল হন স্থানীয় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে তার ছিঁড়েছে শান্তিনিকেতনের বাউলের
কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল বলেন, আমরা উচ্ছেদের পক্ষে কিন্তু কেন ডিপিএল কর্তৃপক্ষ একটি বাড়ি বা দোকানকে ভাঙল তার পাশাপাশি যে সমস্ত অবৈধ দোকান, বাড়ি রয়েছে সেগুলো কেন উচ্ছেদ করছে না সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডিপিএলের যে সমস্ত ফাঁকা কোয়ার্টারগুলো রয়েছে সেগুলিও টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দিনে দুপুরে ডিপিএলের ভিতর থেকে চলছে গাছ কাটার কাজ। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ করেন খোদ কাউন্সিলর। পরিবারের সদস্য, স্থানীয় কাউন্সিলর ও ডিপিএল আধিকারিকেরা এ বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনায় বসেন নগর প্রশাসন কার্যালয়ে। এরপর ডিপিএল আধিকারিকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ধর্না ওঠে।