ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির দোমহনির দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নয়াদিল্লিগামী সিকিম-মহানন্দা এক্সপ্রেসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এলএইচবি (LHB) কোচ চালু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নতুন কোচের যাত্রারম্ভে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জন বার্লা সহ বিধায়ক ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
উদ্বোধনে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে সিকিম-মহানন্দা এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচ যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য ট্রেনেও এই সুবিধা দেওয়া হবে। এলএইচবি কোচ থাকলে দোমহনী দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমত।
আরও পড়ুন: Sundarbans Turtle: বিরল প্রজাতির মিষ্টি জলের কচ্ছপের জীবনধারা জানতে জিপিএস
নারকেল ফাটিয়ে ও পতাকা উত্তোলন করে সিকিম-মহানন্দার নতুন কোচের সূচনা করেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। রেলের আশ্বাস দ্রুত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রতিটি ট্রেনে জোড়া হবে এলএইচবি কোচ। ফলে যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি অনেক বেশি সুনিশ্চিত হবে। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের পক্ষ থেকে মহানন্দা এক্সপ্রেসের জন্য এলএইচবি কোচের আবেদন করা হয়েছিল। সেই কোচ আসায় খুশি রেল আধিকারিকরাও। তবে মহানন্দার সঙ্গে এলএইচবি কোচ যুক্ত হওয়ার পরে অন্য ট্রেনগুলির জন্য ওই কোচের আবেদন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তারা আরও জানান, বেশিরভাগ ট্রেনে এলএইচবি কোচ ব্যবহারের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: Offline Class: স্কুল বন্ধ, চার দেওয়ালের বাইরে মুক্ত বাতাসে ক্লাস নিলেন শিক্ষকরা
কী এই এলএইচবি কোচ? কী পার্থক্য আইসিএফ কোচের সঙ্গে?
রেলের বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি এলএইচবি(লিঙ্ক হফম্যান বুশ) কোচগুলি স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হয়। যার ফলে দুর্ঘটনার সময় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে। এছাড়া কোচে উচ্চগতিতে দক্ষ ব্রেকিংয়ের জন্য একটি উন্নত বায়ুসংক্রান্ত ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম রয়েছে। যা দ্রুতগতিতে চলা ট্রেনকে খুব সহজে থামিয়ে দিতে পারে।
অন্যদিকে, আইসিএফ (ইন্ট্রিগাল কোচ ফ্যাক্টরি) কোচগুলি ১৯৫০ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে যা অনেকটাই পিছিয়ে। এই কোচ তৈরি হয় মাইল্ড স্টিল দিয়ে। ফলে দুর্ঘটনার সময় কোচগুলি খুব সহজেই দুমড়ে যায়। যার ফলে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্ন থেকেই যায়।