দুর্গাপুর: জীবনের শেষ ঠিকানা নয় বৃদ্ধাশ্রম। বরং নতুন করে জীবন শুরু হোক এখান থেকে। এই সঙ্কল্প নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা মিলে বিভিন্ন মশলা, ফলের গাছ লাগিয়েছেন। কী নেই সেখানে? ড্রাগন ফল থেকে লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা যেমন আছে সেরকম চলছে পদ্ম চাষও।
আরও পড়ুন: টোল আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ফরাক্কায়
পূর্ব বর্ধমানের অন্ডাল খনি এলাকার খাঁদরাতে রয়েছে একটি বৃদ্ধাশ্রম। ২০১৪ সাল থেকে সেখানে আবাসিকরা থাকতে শুরু করেন। ১৭ বিঘা জায়গা নিয়ে এই বৃদ্ধাশ্রমটি তৈরি হয়। প্রথমদিকে সময় কাটত না তাঁদের। দিন যেত স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে। তারপর নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করে ফেলেন নানা ধরনের গাছ লাগানোর কথা। এতে সময় কাটার পাশাপাশি মন ভালো থাকবে, কিছু রোজগারও হবে আশ্রমের।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে রুখতে প্রিয়াঙ্কার মুখে জোট বার্তা
ধীরে ধীরে আশ্রমের মধ্যেই লাগানো হয় বিভিন্ন মশলার গাছ। ড্রাগন ফ্রুটের চাষ শুরু হয় ২০১৭–১৮ সালে আর মশলা চাষ শুরু হয় ২০১৬-১৭ সাল থেকে। এমনকি এখানে পদ্ম চাষ শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। মূলত এই বৃদ্ধাশ্রমের বেশিরভাগ আবাসিকের বয়স ৭০ এর বেশি। এদের মধ্যে যারা একটু শক্তপোক্ত তাঁরা এই কাজে প্রতিদিন নিয়ম করে যুক্ত থাকেন। এই আশ্রমে এখন ২৪ জন আবাসিক থাকেন। আবাসিকরা যেভাবে নিজের হাতে বাগানে চাষ করে সবুজে ভরিয়ে দিয়েছেন তা শুধু প্রশংসনীয় নয় সমাজের কাছে একটা বড় বার্তাও।
আরও পড়ুন: করোনার মতোই ছোঁয়াচে ভাইরাস, আমেরিকায় ‘মাঙ্কি পক্স’-এর হানা
তাঁরা জানালেন, জীবনের শেষসময়ে বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হলেও, হার মানেননি তাঁরা। মনকে শক্ত করে দিব্যি খোশমেজাজে বৃদ্ধাশ্রমের বাগানে ফলিয়েছেন বিভিন্ন মশলার গাছ। ছোট থেকে যাদের বড় করেছিলেন সে সমস্ত প্রিয়জনেরা অনাদরে ফেলে গেছেন। তাই ছোট ছোট শিশু গাছকে ভালোবাসায় ও যত্ন দিয়ে বড় করে তুলছেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা।