ওয়াশিংটন ডিসি: একে করোনায় রক্ষে নেই, দোসর মাঙ্কি পক্স। করোনা বিধ্বস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মাঙ্কি পক্স-এ আক্রান্ত ব্যক্তির হদিশ মিলল। বিরল এই ভাইরাস প্রায় দু’দশক পরা হানা দিল আমেরিকায়। সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) এ কথা জানিয়েছে। করোনার মতো এই ভাইরাসও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নাইজিরিয়া ফেরত এক ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। ৮ জুলাই নাইজিরিয়ার লাগোস থেকে বিমানে চড়ে ওই ব্যক্তি আটলান্টায়। ৯ জুলাই আটলান্টা থেকে আরেকটি বিমানে তিনি টেক্সাসের ডালাসে যান। পরে তাঁর দেহেই সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির থেকে বিমানের অন্য যাত্রীরাও সংক্রমিত হয়েছেন কিনা জানতে তা জানার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু) জানিয়েছে, ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ জনের শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। দু’দশক পর ফের মার্কিন মুলুকে মাঙ্কি পক্স হানা দিল। এই ভাইরাসের সংক্রমণ মূলত দেখা যায় মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায়। বানরের শরীর থেকে এই ভাইরাস অন্য প্রাণীর শরীরেও ঢুকতে পারে।
মাঙ্কি পক্স কী
স্মল পক্স-এর গোত্রের ভাইরাস মাঙ্কি পক্স। অত্যন্ত বিরল এই ভাইরাস। ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। ১৯৭০ সালে রিপাবলিক অফ কঙ্গোর এক বাসিন্দার দেহে মাঙ্কি পক্স থাবা বসায়। ২০০১ সালে শেষবার যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু)-র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে।
মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ
সারাদেহে প্রচুর পরিমাণে র্যাশ বের হয়। অসহ্য যন্ত্রণাও হয়। তীব্র জ্বর, সর্দি-সহ অন্যান্য উপসর্গও দেখা যায়। তবে স্মল পক্স-এর তুলনায় এটি বিরল।
কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়
কোভিড যে ভাবে ছড়ায়, মাঙ্কি পক্স-ও একইভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেটে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই তা ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক আবশ্যিক।