বনগাঁ: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আশানুরূপ ফল না হতেই মন টিকছে না নেতাদের। পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন অনেকেই। রবিবার বনগাঁয় জেলার সাংগঠনিক বৈঠকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস , বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের গড় হাজিরা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া অনুপস্থিতির জন্য শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। বিজেপির অন্দরে কোনও গোষ্ঠি কোন্দল নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিন দলীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নবদ্বীপ জোনের বিজেপি পর্যবেক্ষক অভিজিৎ দাস ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক প্রসেনজিৎ ভৌমিক। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠের দাবি, নির্বাচন শেষ হতেই বিভিন্ন জায়াগায় প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বিজেপির গোষ্ঠিকোন্দল। মুকুল রায়ের ‘ঘরওয়াপাসি’র পর থেকেই বনগাঁয় সংগঠন ধরে রাখতে নাজেহাল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: একেই কি বলে রেজিমেন্টেড পার্টি?
বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতৃত্বের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা ঘিরে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেও পোস্টার দেখা গেছিল।দলীয় সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই বনগাঁয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন এই ৩ বিধায়ক ও সাংসদ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়াদের নাগরিকত্ব ও উন্নয়ণের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বনগাঁয় ঘাঁটি শক্ত করেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা। মতুয়া সমর্থন পেতে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক নেতা। নির্বাচন মিটতেই সাংগঠনিক বৈঠকে তিন বিধায়কের গড় হাজিরা নিয়ে জেলা বিজেপির অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।