কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় স্বাস্থ্য আধিকারিক, নার্স, ১৫ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২৫০ জন করোনা আক্রান্ত (COVID-19 cases)। ইতিমধ্যে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় দুটি ২৫ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে (Third Wave of Corona in Bengal)। সেখানে আক্রান্ত চিকিৎসক থেকে নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা পাবে। মেরুদন্ডী ও ভ্যাবলায় সেফহোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে অনেকটাই। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমিত ১৬৬ জন। পরিস্থিতি দেখে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি শুরু হল জেলায় (covid 3rd wave west bengal)।
আরও পড়ুন: Covid surge: সোনারপুরে মাস্ক পরাতে পথে বিধায়ক, বাঁকুড়ায় করোনার সেঞ্চুরি
বসিরহাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েন বলেন, প্রতিদিন আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট করা হচ্ছে। সেটা পজিটিভ হলে ওমিক্রনের জন্য লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। সীমান্ত থেকে সুন্দরবন বিশেষ করে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, বসিরহাটে বেড বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, মেদিনীপুর শহরে সাতটি, খড়্গপুর শহর সংলগ্ন এলাকায় আরও পাঁচটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে বুধবার রাতেই। প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছানোর কাজ শুরু করেছেন পুলিসকর্মীরা। মাস্ক না পরলে জেলাজুড়ে পুলিসি ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বিধি না-মানার কারণে জেলাতে ৫০০-র বেশি গ্রেফতারি ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন।