কলকাতা: জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে ‘ধনখড়ের’ নাম জড়ানোর অভিযোগ জোরাল হতেই আসরে নামল বিজেপি৷ মঙ্গলবার তৃণমূলের অভিযোগের পরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ খোলেন৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে৷ তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে৷ তৃণমূলের কোনও গণতন্ত্র নেই৷’
আরও পড়ুন: ‘ধনখড়ের’ বিরুদ্ধে জোরালো হচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগ
দু’দশক আগে, হাওয়ালা দুর্নীতি কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে৷ এবার বঙ্গ রাজনীতিতেও রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতে বড় ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে হাওয়ালা যোগের অভিযোগ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই দুর্নীতিকে সামনে রেখে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালকে আক্রমণ মমতার
সোমবার জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওয়ালা জৈন মামলার চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যপালের৷ এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কেন রাজ্যপাল পদে বসানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা৷’ মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই এবার ধনখড়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তৃণমূল৷ মঙ্গলবার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু হাওয়ালা কারবারে রাজ্যপালের যোগ এবং তাঁর সাংবিধানিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷
আরও পড়ুন: জৈনদের হাওয়ালা ডায়েরিতে রহস্যময় ‘ধনখড়’
সুখেন্দুশেখর রায় জানান, জৈনদের ডায়েরির পাতার শেষে ধনখড়ের নাম রয়েছে৷ তাঁর নামের পাশে লেখা ‘৫’৷ ওই ধনখড় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কি একই ব্যক্তি? জানতে চান তৃণমূল সাংসদ৷ সুখেন্দুশেখর জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর সোমবার বিকালে রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন তিনি নির্দোষ৷ হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নাম নেই৷ যে মামলার নিষ্পত্তিই হল না তার আগে তিনি কী করে নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করলেন? রাজ্যপাল অর্ধসত্য বলছেন বলেও দাবি করেন রাজ্য়সভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
হাওয়ালা কাণ্ড তুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ৷ তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই৷’ তাঁর অভিযোগ, জৈন ভাইদের ডায়েরিতে ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল৷ নৈতিকতার কারণে তাঁর রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত৷ এ নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছিলেন৷ তাতে হাওয়ালা কারবার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে৷