ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। এই প্রবাদ বাক্যটা আমরা সকলেই প্রায় শুনেছি। শুধুমাত্র শোনা নয়। এবার এই ইচ্ছেকেই কাজে লাগিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ঝাড়গ্রাম জেলার গা ঘেঁষা একটি ছোট্ট গ্রাম। করোনা পরিস্থিতির জন্য স্কুল,কলেজ সবই দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও পর্যন্ত খোলেনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই। ফলে যেটুকু হচ্ছে সবটাই ফোনের মাধ্যমে। পড়াশোনার প্রতি তাঁদের অদম্য ইচ্ছাই ক্রমশ জুগিয়ে চলেছে তাঁদের শক্তি। তাই পড়াশোনার জন্য এখন একমাত্র ভরসা ওই মোবাইল। কিন্তু কত জনের কাছেই বা রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল? হাতে গোনা গুটিকয়েকের কাছে থাকলেও তাতে সমাধান কিছুই হয় না। কারণ গ্রামের অনেকটা ভিতরে ঘর তাঁদের।
আরও পড়ুন যশের প্রভাবে বিপর্যস্ত অনলাইন শিক্ষা
একইসঙ্গে এলাকায় নেটওয়ার্কের বড় সমস্যা। তাই হাসাডুমরি পাহাড়ের মাথায় উঠেই চলছে অনলাইনে পড়াশোনা। একমাত্র সেখানেই গেলেই পাওয়া যায় নেটওয়ার্ক এমনটাই দাবি খুদে পড়ুয়াদের। আমলাশোল,কাঁকড়াঝোড়, কেন্দাপাড়া, শুষনিজোবি, বুড়িঝোরসহ বিভিন্ন গ্রামের ছাত্ররাই এভাবেই চালাচ্ছে পড়াশোনা। পাহাড়, জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি ছেড়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে। তাই এভাবেই দীর্ঘদিন ধরেই চালাতে হচ্ছে পড়াশোনা। এভাবেই চলছে পঠনপাঠন। এমনটাই জানান এলাকার প্রাইভেট টিউটর সঞ্জয় কুমার পাল, কলেজ ছাত্র গৌরাঙ্গ মুর্মু সহ আরও অনেকেই। এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গ্রামবাসীদের দাবি, অন্তত মোবাইলে টাওয়ার ঠিক মত থাকলে অনলাইনে পড়াশোনার কাজটা তাঁরা বাড়িতে থেকেই করতে পারবে। তাহলে তাঁদের আর চড়া রোদে কিংবা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাওয়া হবে না পাহাড়ের মাথায়। তাই এ ব্যাপারে সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন তাঁরা যেন এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন করোনার জেরে অস্তিত্ব সংকটে টয়ট্রেন পরিষেবা