যশের প্রভাবে এবার বিপর্যয়ের মুখে রাজ্যের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্হা। ঠিক বছর খানেক আগে আমফান ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছিল রাজ্য। সেই সময় ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী সেই অর্থে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ জোটেনি রাজ্যের ভাগ্যে। তথাপি রাজ্য তার সীমিত সামর্থের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছিল। আর সেই আমফানের স্মৃতি মুছতে না মুছতে আবারও রাজ্যে ধেয়ে এল যশ।
গত ২৬ মে রাজ্যের ওপর যশ আছড়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কা নিয়ে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। তবুও যশের দাপট ও ভরা কোটালে জলস্তর বেড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া হুগলিসহ একাধিক জেলায় ঝড় ও জলের প্রকোপে প্রায় ১ কোটি মানুষ বিপন্ন। আর এরই মধ্যে মারাত্মক ভাবে বিপন্ন পড়ুয়ারা। বছর ভোর কোভিড পরিস্হিতিতে এমনিতেই স্কুল কলেজ বন্ধ। পড়ুয়াদের ভরসা অনলাইন ক্লাস। আর এই ঝড় জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে টেলিফোন টাওয়ারের। আর টেলিফোন টাওয়ারের ক্ষতির ফলে ব্যাহত টেলিকম সিগন্যাল। আর ঠিকমত সিগন্যাল না থাকায় চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্হা। গোদের ওপর বিষফোড়ার মত অনেক জায়গায় পড়ুয়াদের অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্হার সুযোগটুকুও কেড়ে নিয়েছে যশ।