করোনা পরিস্থতিতে মানব জীবন কার্যত বিপর্যস্ত। সমাজের সকল স্তরেই পড়েছে তার প্রভাব। তাই সাধারণের পাশে দাঁড়াতেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ যেন ক্রমশই বেড়ে চলেছে । কাজেই সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে করোনার বিধি নিষেধ। তাই বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। ফলে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না বহু মানুষ। যাঁরা গৃহসহায়িকার কাজ করেন তাঁদের অনেকেই আছেন ট্রেন বাস না চলার কারণে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। পাশাপাশি সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই তাঁদের কাজে আসতে বারণ করেছেন। বিশেষত আবাসনগুলিতে। ফলে পেটের দায়ে অনেকেই সংক্রমিত বাড়িতেই কাজ করছেন। কাজেই সংক্রমিত হচ্ছেন বহু পরিচারিকাই। পারিবারিক আয় না থাকার কারনে সংসারে চরম অশান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই বাধ্য হয়েই পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার কাছে ২০শে মে বেশ কয়েকটি দাবি দাওয়া নিয়ে আবেদন জানায় তাঁরা।
আরও পড়ুন :মেট্রোর যাতায়াতে ছাড়পত্র
দাবিতে তাঁরা উল্লেখ করেন।
১ । মাসিক আয় নুন্যতম ৬০০০ টাকা করতে হবে,
২ । অগ্রাধিকার নিয়ে তাঁদের ভ্যাক্সিনেশন করাতে হবে।
৩ । বেতন কাটা ও ছাঁটাই করা যাবে না।
৪ । সকল গৃহসহায়িকার পরিবারকে ১০ কেজি চাল/ গম দিতে হবে।
৫। পেনশান, পি এফ,চিকিৎসা, সন্তানের পড়াশোনা সমস্ত সুবিধা দিতে হবে।
৬। স্পেশাল ট্রেনে গৃহসহায়িকাদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে।
৭। পরিচয় পত্র সংক্রান্ত বিষয়টি সহজ করে ,মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা যাতে সর্বত্র সমান ভাবে কার্যকর করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন ভাঙন অব্যাহত, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে দাপুটে নেত্রী
ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া ষ্টেশন, উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা,নদিয়ার পলাশী, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ার ইছাপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সহ বেশ কিছু জায়গায় তাঁদের দাবি দাওবা নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের নেতৃত্বের আশা সকলের লড়াইয়ে ফলে তাঁদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।