মেদিনীপুর: পানীয়র মাধ্যমে মাদক খাইয়ে রোগী পরিজনের সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতী৷ শনিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা৷ এই ঘটনায় মেদিনীপুরের সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷
আরও পড়ুন: প্রতিমাসে আইএসআই দিত ৫০ হাজার
সবংয়ের বাদলপুর এলাকার বাসিন্দা ঋষিকেশ ওঝা৷ গত বৃহস্পতিবার নিজের স্ত্রীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে ভর্তি করেছিলেন। শুক্রবার তাঁর পুত্র সন্তান হয়। শুক্রবার হাসপাতালের বাইরে প্রতীক্ষালয়ে অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রতীক্ষালয় থাকা অন্যান্য রোগীর লোকজনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গল্পগুজব করেন তিনি। এক প্রৌঢ় রোগী ভর্তি রয়েছে জানিয়ে ঋষিকেশের সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল। ঋষিকেশের সঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ বোতলে করে ঠান্ডা পানীয় জল এনেছিল। গ্লুকোন ডি বলে খাওয়ার অনুরোধ করেন ঋষিকেশকে। প্রথমে না বললেও, সারাদিন সঙ্গে থাকা বয়ষ্ক ভদ্রলোকের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারেন নি। বারবারের অনুরোধে ওই গ্লুকোন ডি পান করেন তিনি। তারপর আর কিছুই জানেন না ঋষিকেশ ওঝা৷ শনিবার সকাল সাতটার পর অন্য এক রোগী পরিজন ঋষিকেশকে ডেকে তোলেন৷ ঘুম থেকে উঠেই হতভম্ব ঋষিকেশ পকেট হাতড়াতে থাকেন৷ কিন্তু মোবাইল, নগদ মোটা টাকা কিছুই পান নি। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দাঁড়াতে পারেনি। ঘন ঘন বমি করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: শরদ-মোদির ৫০ মিনিটের বৈঠক নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে
ঋষিকেশের দাদা শুকদেব ওঝা বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে সারাদিন গল্প করে বিশ্বাস অর্জন করে ওই ব্যক্তি৷ রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল৷ নিজেকে মুর্শিদাবাদের লোক বলে পরিচয় দিয়েছিল। এরকম পরিস্থিতি হলে রোগীর পরিবারের লোকেরা কীভাবে বাইরে থাকবে৷ পুলিশে জানিয়েছি। এ দিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগী পরিজন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে পকেটমারি ও চুরির ঘটনা বেড়েছে। পাথরা এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, প্রতিদিন রোগীর পরিবারের লোকজনের জিনিসপত্র চুরি যাচ্ছে। বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালেও সুরাহা হয়নি। রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য তৈরি প্রতীক্ষালয়ের পরিকাঠামোই নেই।