পূর্ব বর্ধমান: আউসগ্রামের তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সী খুনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করা হল বুধবার। এদিন পুলিশ খুনের ঘটনায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত এবং সুপারি কিলার শের আলী ও ইমরান কুরেশিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। কীভাবে তারা গুলি করেছিল তা পুনর্নির্মাণ করা হয় পুলিশের সামনে।
পুনর্নির্মাণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন গেরাই গ্রামের কুনুর সেতুর কাছে একটি হোটেলে শের আলী এবং ইমরান কুরেশি দীর্ঘক্ষণ বাইক নিয়ে চঞ্চল বক্সীর অপেক্ষা করে। চঞ্চল বক্সী তাঁর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে বাইকে চেপে একটি নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। চঞ্চল যে ওই বাইকে তাঁর বাবার সঙ্গে ফিরছে তা চিনিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য একটি বাইকে ছিল অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজন।
পুলিশ সূত্রে অনুযায়ী, এরপর জঙ্গলের মধ্যে বাইক থামিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শের আলী চঞ্চল বক্সীকে গুলি চালায়। ঘটনার পর বাইকে করে পালানোর সময় চলন্ত বাইকেই শের আলী তার গায়ের জামাটি পাল্টে নেয়। জামা পাল্টানোর সময় অসাবধানতাবশত তার সঙ্গে থাকা রিভলবারটি রাস্তায় পড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেট উদ্ধার করেছে।
বুধবার তদন্তের স্বার্থে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ইমরান কুরেশি ও শের আলী নামের দুই সুপারি কিলারকে ঘটনাস্থলে এনে খুনের ঘটনার পুনঃ নির্মাণ করা হয়।
পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে গোটা ঘটনার
আরও পড়ুন – বিজেপির ত্রিপুরায় দুর্গাপুজোর সময় ১৪৪ ধারা, নাম না করে মোদি-শাহ্কে নিশানা মমতার
৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার জঙ্গলের মধ্যে দেবশালার পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতার ছেলের পিঠে, কাঁধের নীচে এবং পেটে তিনটে গুলি লাগে৷ হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
আরও পড়ুন – ভোট গণনার দিন আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ, দীর্ঘ ৩ মাস পর হাসপাতালেই মৃত্যু বিজেপি প্রার্থীর
চঞ্চল আউসগ্রামের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন৷ এই ঘটনারই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যতম দুই অভিযুক্ত এবং সুপারি কিলার শের আলী ও ইমরান কুরেশিকে।