করোনা আবহেই দেশে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক জায়গায় হদিশ মিলেছে এই ভাইরাসের। একইসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন বহু।এই পরিস্থিতিতেই সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি সমীক্ষা করেছে আইসিএমআর । আর তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
আরও পড়ুন সংক্রমণ কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং
রিপোর্টে বলা হয়েছে , কোভিশিল্ডের দুটির ডোজ নেওয়ার পরেও বহু ব্যক্তির শরীরেই এই ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনি। অর্থাৎ কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। পাশপাশি আইসিএমআরের এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে,যারা কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ এবং যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৬.১ শতাংশের শরীরে ডেল্টার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। যা নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন বাংলা ভাগে গোপন বৈঠকে কেপিপি-গ্রেটার কোচবিহার!
অন্যদিকে শনিবারই শেষ হয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল । কোভিশিল্ডের এই টিকা বিতর্ক নিয়ে এক নয়া তথ্য পেশ করেছে এই সংস্থা। যেখানে বলা হয়েছে কোভিডের নয়া ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের টিকা কার্যকারী না হলেও, এই ভাইরাস মোকাবিলায় সক্রিয় হবে কোভ্যাকসিন। কার্যকারিতার বিচারে যার হার ৬৫.২ শতাংশ। এছাড়াও উপসর্গহীন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই টিকা কার্যকরী হবে ৬৩.৬ শতাংশ । তীব্র উপসর্গযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে হবে ৯৩.৪ শতাংশ। ফলে অন্যান্য সব বিদেশি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সমানভাবে পাল্লা দিতে পারে কোভ্যাকসিন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এই সংস্থার তরফে। যদিও এই বিষয়ে কোভ্যাকসিনকে এখনও কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন গণধোলাইকারীরা হিন্দুত্ব বিরোধী: মোহন ভাগবত