পাহাড়ের রাজনীতির সমীকরণ বদলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিনয় তামাং। ছেড়েছেন দলের প্রাথমিক সদস্যপদও। বেশ কিছুদিন থেকেই অন্তরালে ছিলেন বিনয় তামাং । কোনও দলীয় কর্মসূচিতেও যাচ্ছিলেন না তিনি।৯ জুলাই দার্জিলিংয়ের একটি হোটেলে দলের বৈঠক বসে। সেখানে দলের সব নেতারা থাকলেও ছিলেন না বিনয় তামাং। এর পর ফের গত ১৩ জুলাই দলের সেন্ট্রাল কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বিনয় তামাংকে ডাকা হয়নি। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি দল ছাড়তে চলেছেন বিনয়?
আরও পড়ুন মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতাদের
যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্য কোভিডে আক্রান্ত। তাই তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার দলের সভাপতির পদ এবং প্রাথমিক সদস্য পদ ত্যাগ করেন তিনি । তাঁর ইস্তফা পত্রটি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা অনীত থাপাকে দিয়ে এই পদ ছাড়েন বিনয় তামাং। পাশাপাশি দলীয় পতাকাও তিনি বিমল গুরুং এর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলেই জানান বিনয় ।বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনয় তামাং বলেন, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় নিয়েই চিঠি লিখে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি । পাহাড়ের তিনটি আসনের মধ্যে দুটোতেই হেরে যান বিনয় ।বারবার পরাজয়ের ফলেই তাঁর এই পদত্যাগ।
আরও পড়ুন বাড়ল মেট্রোর সময়সীমা, স্মার্ট কার্ডে বিশেষ ছাড়
প্রসঙ্গত, ১৯১৭ সালের পাহাড়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে বিনয় তামাং, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গ ছাড়েন।তৈরি করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দলটিকে। এর পরেই বিনয় তামাং এর নেতৃত্বে পাহাড়ের অনেক নেতাই বিমল শিবির ছেড়ে যোগ দেয় তাঁর দলে।এই ঘটনায় বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন পাহাড় এবং ডুয়ার্সের উন্নতির লক্ষ্যে বিনয় তামাং যদি তাঁর সঙ্গে হাত মেলায় তবে তাঁকে স্বাগত ।কিন্তু এই বিষয়ে কোনও উত্তরই দেননি বিনয় । বরং জানিয়েছেন তিনি এখনই কোনও দলে যাবেন না।পাশাপাশি এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন জয়েন্টের দিন স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে পরীক্ষার্থীদের ওঠার অনুমতি দিল রেল