রাজ্য এবং বণিকসভাগুলির যৌথ উদ্যোগে টিকাকরণের ওপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভ্যাকসিনের ওপর গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। তিনি বলেন বণিকসভা চাইলে সরকার ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিতে পারে অথবা বণিকসভা যদি মনে করে বেসরকারি জায়গা থেকে ভ্যাকসিন কিনবে তাও তাঁরা কিনতে পারেন। কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সে জায়গা চিহ্নিত করে দিলে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, বিধি নিষেধ শেষ হবে ১৬ তারিখ। তাই তার আগে যতটা এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখতে পারবেন ততটাই পরবর্তীকালে সুবিধা পাবে সেই সব প্রতিষ্ঠান। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য ১৫ টি চেম্বারকে নিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমন পুলের মাধ্যমে সবাইকে আবেদন জানাতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার থেকে বিকেল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে এই ব্যবসা চালাতে হবে বলেও তিনি জানান। বণিকসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভ্রমণের বিষয় বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছরে অনেক কিছু করা হয়েছে আরও করতে হবে। জেলাভিত্তিক একটা ডেটা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কোন জেলায় কত লোক পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করে তাঁদেরকেও টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আইটি সেক্টর দুটো শিফটে ১০ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। বণিকসভার পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় যে, শপিং মল ৫০ শতাংশ লোক দিয়ে যদি খোলা হয় তাহলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত লোকেদের অনেকের উপকার হবে। তাঁদের এই আবেদনের ভিত্তিতে ১৬ তারিখের পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তবে পরে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে শপিং মল ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে চালু করা যায় কিনা এবং এটা কি করে করা যায় সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন।
এদিন বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাড়ির পরিচারিকাদের সুপার স্প্রেডার গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি মন্দিরের পুরোহিতদের এই গ্রুপে যুক্ত করার কথা বলেন। জেলায় কর্মরত কেবল অপারেটর, টিভি, ফ্রিজ মেকানিকদেরও এই তালিকাভুক্ত করার কথা এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বণিকসভার কাছে আবেদন করেন যশে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে সাহায্যের জন্য। তিনি বলেন, বহু জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে একই গ্রামে বারবার সাহায্য পাচ্ছে, কিন্তু অন্য গ্রামের লোকেরা কেউ কোন সাহায্য পাচ্ছে না। তাই সরকারের মাধ্যমে যদি এই কাজটা করা যায় তাহলে সকলেই সমানভাবে উপকৃত হবেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে জেলার বণিকসভাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।