কঙ্কালীতলায় মুখ্যমন্ত্রী’র উদ্বোধনের ৬ মাস পর চালু হল বৈদ্যুতিক চুল্লি। রবিবার কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করলেন বোলপুর ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
বীরভূমে পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম হল শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা। এখানে বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমায় প্রতিনিয়ত। যদিও এখন করোনা পরিস্থিতিতে মন্দির বন্ধ থাকায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা কম। পাশাপাশি কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে মৃতদেহ দাহ করা হয়। মহাশ্মশানের কথা মাথায় রেখে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখানে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনও করেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়ার পর কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হলে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুল্লিটি উদ্বোধন হলেও দীর্ঘদিন ধরে চালু না হওয়ায় স্থানীয়রা ও যারা এই মহাশ্মশানে মৃতদেহ দাহ করতে আসেন তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরপর রবিবার বৈদ্যুতিক চুল্লিটি চালু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসীরা।
বোলপুর ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, ‘ট্রায়াল রান করার পর রবিবার কঙ্কালীতলায় বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু করা হল। স্থানীয় মানুষজন সহ বাইরের যে কেউ এখানে মৃতদেহ এনে দাহ করতে পারেন। প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ব্যয়ে এটি নির্মান করা হয়েছে। মৃতদেহ দাহ করার জন্য ১৬০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।’