Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Aajke | বাংলায় তৃণমূল, বিজেপি, কং-বাম-আইএসএফ কতটা এগিয়ে, কতটা পিছিয়ে?
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ১০:২৮:১০ পিএম
  • / ১৭ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

নির্বাচন সারা দেশে একরকম হয়, বাংলাতে অন্যরকম। এখানে নির্বাচনের তিনটে শর্ত। প্রথমটাই হল সংগঠন। সংগঠন মানে? দলের পিছনে তেমন মানুষ আছে কি না, যারা ভোটের দিনে ভোটটা করাবে। হ্যাঁ, অন্য রাজ্যে ভোট হয়, বাংলাতে ভোট করাতে হয়। এ শিক্ষা বাংলা পেয়েছে বামেদের কাছ থেকে। আর সেই ভোট করানোর প্রস্তুতি কিন্তু বাম জমানাতে চলত সারা বচ্ছর ধরে, কড়া নজরদারি, বিলি বন্দোবস্ত, মধুভাণ্ডের বিতরণ ইত্যাদির প্রাথমিক শিক্ষা বামেরা দিয়ে গেছে, তৃণমূল তাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এখন বিতরণ সরকারি এবং বেসরকারি, দুভাবেই হয়। এখনও সেই ব্যবস্থা বরকরার, এবং আরও অনেক শক্তিশালী। কাজেই ভোটার লিস্ট থেকে আমাদের লোক, ওদের লোক, ডাউটফুল ইত্যাদি মাপামাপি চলতে থাকে, শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছয় নির্বাচনের মাস চার-পাঁচ আগে থেকে। এই সংগঠন ভিড় জোটাবে, এই সংগঠন মিছিল করবে, এই সংগঠন দেওয়াল লিখবে, পোস্টার সাঁটাবে দেওয়ালে, মাইকে হেঁকে যাবে সারাদিন। এদের সবচেয়ে তলার স্তরে এক বিশাল যুব বাহিনী, এদের স্কুল কলেজ নেই, চাকরি নেই, এরাই হবু ব্লক সভাপতি, এরাই একটা গুমটির জন্য, অটোরিকশার লাইনের জন্য লড়ে যাচ্ছে, দাদা বলেছে ভোটে জিতলে…। অতএব দিন নেই রাত নেই ছুটছে। বামেদের আমলের শুরুতে এদেরকে গরিব-বড়লোক লড়াইয়ের এক তত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বছর পাঁচ ছয় পর থেকে এরা ফেলো কড়ি মাখো তেল আমি কি তোমার পর, এই সারসত্য বুঝে ফেলেছিল। আর এই জমানাতে সেই স্লোগান আরও অনেক লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার, কোনও কনফিউশন নেই। এদের উপরে এলাকার, অঞ্চলের নেতা, তার উপরে জনপ্রতিনিধি, পঞ্চায়েত সদস্য, সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্য, কাউন্সিলর, ক্রমে আরও উঁচু, বিধায়ক, সাংসদ এবং তারও উপরে দলের প্রথম সারির নেতারা। এটাই হল সংগঠন। ও হ্যাঁ, এইখানে বলে রাখি এই সংগঠনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ফান্ডিং, টাকা পয়ার জোগান যাকে বলে। না হলে অবশ্য সংগঠনই থাকবে না। এরপরের বিষয়টা হল প্রচার। ঠিক কোন স্লোগানটা মানুষের কাছে নিয়ে আসা যায়, কত তাড়াতাড়ি নিয়ে আসা যায়, কীভাবে নিয়ে আসা যায়, উল্টো দিকের প্রচারকে উড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি, নতুন চমক, নতুন ইভেন্ট, এই সব মিলিয়ে প্রচার এক বিরাট ব্যাপার, বিজেপিকে দেখলেই তো বোঝা যায়। আর শেষ ব্যাপারটা হল ওই সংগঠন আর প্রচারের ফলে মানুষের পারসেপশন, ধারণা। সর্বত্র যদি এই ধারণা ছড়ায় যে বামেরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাহলে তারা একটা আসন না জিতলেও তাদের সমর্থন বাড়বে, যদি প্রচার আর সংগঠনের ফলে এমনটা মানুষের ধারণা হয় যে এই সরকার চলে যাচ্ছে, তাহলে কারও সাধ্য নেই, তাকে রোখে। মনে করুন ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা, তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে মানুষের ধারণায় এসে গিয়েছিল, বাম সরকার পড়ে যাবে, আটকানো যায়নি। এই তিন পিলারের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন এসেছে বাংলায়, সেই নিরিখেই আজ আমাদের বিষয় আজকে, বাংলায় তৃণমূল, বিজেপি, কং-বাম-আইএসএফ কতটা এগিয়ে, কতটা পিছিয়ে?

সংগঠনের হিসেবে তৃণমূল বাকিদের থেকে একশো যোজন এগিয়ে আছে। মূলত দুটো কারণে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তাদের সরকারি বা বেসরকারিভাবে মধুভাণ্ড বিতরণের যে হক আছে, যে ব্যবস্থা আছে, তা অন্য কারও নেই, আর থাকলেও তা খুবই কম। এলাকাতে অন্য দলের, বিশেষ করে বিজেপি সংগঠনে যে ভিড় তা রামমন্দিরের দাবিতে নয়, হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন তাদের নেই, তারা ৩৭০ ধারা খায় না মাথায় দেয় তা জানে না। তারা বিজেপি কারণ তারা বঞ্চিত, মধুভাণ্ড হইতে বঞ্চিত, বা পঞ্চায়েতে টিকিট পায়নি, বা ব্লক কমিটিতে জায়গা পায়নি। অতএব তারা বিজেপি, কাল পেলে কালই তারা তৃণমূল হবে।

আরও পড়ুন: Aajke | বাম-কং-আব্বাস জোট কতদূর? জটিলতা কোথায়?

আর দু’ নম্বর কারণ হল এই শ্রেণির মানুষজনেরা ভিড়ের সঙ্গেই থাকে, যেদিকে বেশি ভিড়, সেদিকে ভিড়ে যাও। বাম জামানার শেষে, ২০১১-র নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার আগে রাসবিহারীর অটো লাইনে প্রত্যেকটা অটোতে লাল ঝান্ডা ছিল, বিশ্ব বিপ্লব করার জন্য নয়, হয় ধান্দা, নয় ভয়, নয় ভিড়ের সঙ্গে থাকা। নির্বাচনে বামেরা হারার পরে প্রত্যেকটা অটোতে ঘাসফুল লটকাতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়নি ওই একই লোকজন। সেই সংগঠনের হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূল ৭০ হলে বিজেপি ২০, বাম-কং-আইএসএফ ১০ বা তারও কম। উত্তরবঙ্গে এখনও ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তৃণমূল ৫০-৬০, বিজেপি ৪০-৪৫ আর ওই বাম-কং-আইএসএফ পাঁচের তলায়। মধ্যে যা ছিল কংগ্রেসের, তার নতুন ছবি দেখার জন্য বসে থাকব আমরা। প্রচারের নতুনত্বে তীব্রতায় তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে, কিন্তু এই জায়গাতে বিজেপি বা বামেরা আছেন, ভালো ভাবেই আছেন। কংগ্রেস আর আইএসএফ এসব প্রচার ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে বলেই মনে হয় না। বহুদিন পরে বামেদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, প্রতিকুর, সায়ন, সৃজনরা আলোচনাতে আছেন, সেলিম সুজনের চেয়ে বেশি করেই আছেন। বামেদের তূলনামূলকভাবে রাস্তায় দেখা না মিললেও তারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দারুণ অ্যাকটিভ। আর বিজেপির প্রচার আছে, কারণ তাঁদের হাতে আছে ব্রহ্মাস্ত্র, নরেন্দ্র মোদি, একাই একশো। এখানে নম্বর দিতে হলে তৃণমূল ৪৫, বিজেপি ৩০, বাম ইত্যাদিরা ২৫। এবং শেষে ধারণা। তিনটে ধারণা বাজারে ঘুরছে। প্রথমটা হল তৃণমূলকে হারানো যাবে না, তাদের আসন কি কমবে? বাড়তেও পারে। কতটা বাড়বে? জানি না। দ্বিতীয়টা হল বিজেপি বাড়বে? মনে হচ্ছে না? আগের থেকে অনেক কমবে? মনে হচ্ছে না। আর তিন নম্বর ধারণা হল বামেরা কিন্তু আগের থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক’টা আসন পাবে? না আসনের কথা বলতে পারব না। এই ধারণার হিসেবে তৃণমূল ৬৫। বিজেপি ৩০, বাম কং ইত্যাদিরা ৫ বা তারও কম। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেস বলেছিলাম, আসন সংখ্যা বলতে হবে না, সংগঠন প্রচার আর আসনের দিক থেকে তাঁরা তৃণমূল, বিজেপি আর বাম-কং-আইএসএফকে কত নম্বর দেবেন? শুনুন কে কত দেবেন বলেছেন।

এই শুরুয়াতি আবহে সব মিলিয়ে বাংলাতে এখনও অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল, বিজেপি তার পরেই, আর একটা তৃণমূল–বিজেপি বাইনারি কিন্তু আবার জায়গা করে নিচ্ছে। বিজেপিকে আজকের নিরিখে বেশ খানিকটা অপ্রস্তুত মনে হচ্ছে, কিন্তু তারা তাদের অর্থবল আর জাতীয় নেতাদের হাজির করে সেটা খানিক পূরণ করতেই পারে। বামেরা দৃশ্যতই বেকায়দায়, ছন্নছাড়া লাগছে তাদেরকে, কিন্তু সেটা এখনকার হিসেব, হিসেব যে এরকমই থাকবে, সেই গ্যারান্টি দেবে কে?

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

শুভেন্দু-অভিজিতের নামে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন অধরাই! আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
গলার স্বর বিকৃত করা হয়েছে, সিবিআই তদন্ত চান গধাধর
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
দুহাজার টাকার বিনিময়ে বিজেপি ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ লিখিয়েছে, কী লজ্জা
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
কলকাতা পুলিশের তলবে সাড়া দিলনা রাজভবন
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ভিডিও সাজানো, আইপ্যাকের কাজ, দাবি শুভেন্দুর
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
চুম্বনের আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
বাম, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে জয়ী করার আহ্বান বুদ্ধদেবের
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার প্রচুর বোমা
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
বিদায়… ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ছেন রূপঙ্কর!
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
সন্দেশখালির আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গেল, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
বাতিল গানের কনসার্ট, অসুস্থ প্রিয়ঙ্কার স্বামী নিক!
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, কবে, জানুন
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ভোটের দুদিন আগে সন্ত্রাস চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি অধীরের
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ধোনি আমার ক্রিকেটের ‘পিতা’, বললেন লঙ্কান পেসার
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team