নাগরাকাটা: শীতের রাতে ডুয়ার্সে হাতির হামলা অব্যাহত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নাগারাকাটার বিভিন্ন এলাকায় বুনোহাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হল দুটি দোকান সহ মোট সাতটা বাড়ি। পাশাপাশি একটি সীমানা প্রাচীরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বুনো হাতির হামলায়। এঘটনায় গোটা নাগরাকাটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে আনুমানিক রাত এগারোটা নাগাদ বামনডাঙা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে দুটি হাতি গরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে একটি দোকান সহ পাচটি বাড়ি ভেঙে দেয়। একবার নয়, পরপর দুবার এসে হামলা চালিয়েছে হাতির দল।
কোনওক্রমে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বাসিন্দারা। বামনডাঙা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগে যখন এলাকায় হাতি ঢুকত, তখন বনকর্মীদের খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা চলে আসত। তবে এখন বনকর্মীদের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ তাঁদের। মাঝেমধ্যেই এভাবে হাতি এসে বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Leopard: চিতাবাঘের আতঙ্ক জলপাইগুড়ির চা বাগানে
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়িঘর মেরামত করার জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ টাকা দেয় না, তাঁদেরই এইসব মেরামত করতে হয়। এই কারণে বন দফতরের কাছে তাঁদের অনুরোধ, তারা যাতে এই সমস্ত এলাকায় টহলদারি বাড়ায়।
অন্যদিকে, এদিন ভোরে নাগরাকাটার থানাপাড়ায় এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের অংশ ও পিছনের জানালা ভেঙে দেয় একটি বুনো হাতি। এমনকী ওই ব্যক্তির উঠোনে মজুত করা ধান খেয়ে বাকিটা নষ্ট করে দেয় হাতিটি। এরপর এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় একটি সীমানা প্রাচীরও ভেঙে দেয়। এই ঘটনার কিছু সময় পর নন্দুমোড় এলাকায় আরো একটি দোকান ভেঙে দেয় অন্য একটি হাতি ।
আরও পড়ুন: Lalbaba College: রেজাল্ট অসম্পূর্ণ, ‘আত্মহত্যা’র হুমকি লালবাবা কলেজের ছাত্রীর
মাঝেমধ্যেই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হাতির হামলা লেগেই রয়েছে। যার জেরে চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র যে বাড়িঘর ভাঙচুর, এমনটা নয়। একাধিকবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বন দফতর দেরিতে আসার অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। পাশাপাশি সরকারি নিয়ম মেনে হাতির হামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তাও মিলবে বলে জানা গিয়েছে।