হাওড়া: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাপড়নের ফাঁদে বেলুড়ের লালবাবা কলেজের ৩৫ জন ছাত্রী৷ স্নাতকস্তরের বিভিন্ন সেমেস্টারের পরীক্ষা দিয়েও রেজাল্টে কয়েকটি বিষয়ে কোনও নম্বর থাকছে না৷ এতই মহাবিপদে পড়েছেন ছাত্রীরা৷ বিষয়টি নিয়েও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ঘোরাঘুরি করেও ফল না হওয়ায় শেষমেশ ‘আত্মহত্যা’র কথা জানাতেই নড়েচড়ে বসল কর্তৃপক্ষ৷
স্নাতকের পরীক্ষা দেওয়া এবং পেপার অনলাইনে সাবমিট করার সমস্ত প্রমাণ থাকাও সত্ত্বেও এই ছাত্রীদের ফল প্রকাশ অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে৷ সে কারণে পরবর্তী সেমেস্টারে ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ এই ভাবে বছর হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী৷ বারবার কলেজকে জানানোর পরেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আঙুল তুলেছে৷ অপরপক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ও বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে৷
এ নিয়ে বুধবার দিনভর কলেজ চত্বরে হত্যে দিয়ে পড়ে ছিলেন ছাত্রীরা৷ কিন্তু কোন কাজ না হওয়ায় সন্ধ্যায় ঘরমুখী হয়েছিলেন তাঁরা৷ কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়ে দেয়, কিছু পেপার বিশ্ববিদ্যালয়ে না পৌঁছনোর জন্য রেজিস্ট্রেশন আটকে যেতে পারে৷ ২০২০ সালে পরীক্ষা দিলেও এখনও রেজাল্ট হাতে পাননি এক ছাত্রী৷ যার ফলে আরও একটি বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি৷
এই হতাশা থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান যে, এরপর অন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি৷ সেই শুনে টনকনড়ে কর্তৃপক্ষের৷ তারা সঙ্গে সঙ্গে বালি থানায় খবর দেয়৷ থানা থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত বাড়ির লোকের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
ছাত্রীর অভিযোগ, কলেজ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না৷ যার ফলে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছিলেন তিনি৷ যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সব সময় পড়ুয়াদের সঙ্গে আছে৷ যা যা করণীয় সবই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় যদি কিছু না করে তাহলে তারা নিরুপায়৷