নয়াদিল্লি: সংসদ টিভির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ, করোনার দোহাই দিয়ে সরকার সংসদে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেই ক্ষান্ত হয়নি, শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) সংসদ টিভির উপরও কর্তৃত্ব কায়েম করেছে তারা। অধিবেশন (Winter Session) চলাকালীন সরকারের প্রতিনিধি কিংবা বিজেপি সাংসদ ছাড়া অন্য কারোর দিকে সংসদ টিভির ক্যামেরা ঘোরানো হয় না।
অধিবেশনে বিরোধীদের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ভাবে সংসদ টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ডেরেক। ডেরেক বলেন, ‘সংসদ টিভিতে শুধুমাত্র স্পিকার, ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং বিজেপি সাংসদদের দেখানো হচ্ছে। বিরোধীদের বিক্ষোভ, স্লোগানিং কিছুই দেখানো হচ্ছে না। সাংবাদিকরাও প্রবেশ করতে পারলে তাও বিরোধীদের ভূমিকা সম্পর্কে দেশবাসী জানতে পারত। কিন্তু তা নিষেধ হওয়ায় অনেক কিছুই আড়ালে থেকে যাচ্ছে।’
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, ‘করোনার দোহাই দিয়ে সংসদে সাংবাদিক, চিত্র-সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদকে সিক্রেট চেম্বারে পরিণত করেছে বিজেপি। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রেস ক্লাবকে চিঠিও দিয়েছি আমরা। এমনটা চলতে পারে না। সংসদ টিভি সেন্সরসিপ হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: TMC slams BJP: ‘সেন্সরশিপ চলছে, বিজেপির শাসনে সংসদ ভবন যেন কালো অন্ধকার কুঠুরি’, তোপ তৃণমূলের
সংসদে অচলাবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন তৃণমূল সাংসদ। ডেরেক বলেন, ‘বিজেপি সংসদ চায় না। সে কারণেই বাদল অধিনেশনের কিছু ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করেছে। সরকারের কাছে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর নেই। তাই তারা অধিবেশন বানচালের চেষ্টা করছে। সরকার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা না করায় আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।’
ইউপিএ ইস্যুতেও এ দিন মুখ খোলেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘ইউপিএ কোনও নির্বাচনী সমঝোতা বা জোট ছিল না। ২০০৪-এ লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর সরকার চালানোর জন্য ইউপিএ গঠন করা হয়েছিল। ২০১৪ অবধি সরকার চালিয়েছিল তারা। শেষ ৭ বছর যেহেতু সরকার অন্যরা চালাচ্ছে, তাই ইউপিএর কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে এখন ইউপিএ নিয়ে আলোচনার একেবারেই অর্থহীন।’
আরও পড়ুন: Mamata Mumbai Mission: ইউপিএ বলে কিছু নেই, আরব সাগরে ঢেউ তুললেন মমতা