নয়াদিল্লি: ১২ সাংসদের সাসপেন্ড ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল (TMC)। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২৩ ডিসেম্বর অবধি ধরনা চলবে। সংসদের সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়েও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন ডেরেক। মুম্বই থেকে মমতা বুধবার বলেছিলেন, ইউপিএ (UPA) বলে কিছু নেই। এ দিন তৃণমূল (TMC slams BJP) সাংসদ ডেরেকের গলাতেও সেই সুর শোনা গেল।
ডেরেক বলেন, ‘করোনার দোহাই দিয়ে সংসদে সাংবাদিক, চিত্র-সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদকে সিক্রেট চেম্বারে পরিণত করেছে বিজেপি। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রেস ক্লাবকে চিঠিও দিয়েছি আমরা। এমনটা চলতে পারে না। সংসদ টিভি সেন্সরশিপ হচ্ছে। বিজেপি’র শাসনে সংসদ ভবন কালো অন্ধকার কুঠুরিতে পরিণত হয়েছে।’
ডেরেকের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলা হলেও সরকারের হয়ে সংবাদ পরিবেশন করা সংবাদ মাধ্যমগুলি সংসদে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে। সংসদ টিভি এখন সেন্সর টিভিতে পরিণত হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষের অধ্যক্ষদের কাছে আবেদন করছি, সাংবাদিকদের সংসদে প্রবেশের বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হোক। প্রয়োজনে টেলিভিশন কভারেজের নিয়ম বদল হোক। নতুন বিধি পুনর্বিবেচনা করার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন– উপস্থিত রাহুল, কংগ্রেসের পাশে বসেই গান্ধি মূর্তির তলায় বিক্ষোভে তৃণমূল
The Hon’ble Chief Minister of West Bengal and Chairperson of AITC @MamataOfficial along with the entire Trinamool Congress parliamentary party wish to express our complete solidarity with the journalist fraternity on the issue of restricted access to parliament.(1/2) pic.twitter.com/v00i5msLKO
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 2, 2021
অধিবেশনে বিরোধীদের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ভাবে সংসদ টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘সংসদ টিভিতে শুধুমাত্র স্পিকার, ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং বিজেপি সাংসদদের দেখানো হচ্ছে। বিরোধীরাও সংসদের অংশ। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভ, স্লোগানিং, ওয়াক আউট- কিছুই দেখানো হচ্ছে না। সাংবাদিকরাও প্রবেশ করতে না পারায়, দেশবাসী তা জানতে পারছে না।’
সংসদে অচলাবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন তৃণমূল সাংসদ। ডেরেক বলেন, ‘বিজেপি সংসদ চায় না। সে কারণেই বাদল অধিনেশনের কিছু ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধী সাংসদদের পরিকল্পিত ভাবে সাসপেন্ড করেছে। সরকারের কাছে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর নেই। তাই তারা অধিবেশন বানচালের চেষ্টা করছে। সরকার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা না করায় আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।’
“A free & robust media is the soul of a Parliamentary democracy” @AITCofficial extends their solidarity to the protest at PCI taking place right now. @derekobrienmp hands over statement of solidarity by @MamataOfficial and other TMC leaders to @umakantlakhera & @vinaywriter pic.twitter.com/GE7ADTBaLM
— Press Club of India (@PCITweets) December 2, 2021