কলকাতা: সকাল থেকেই ৬ মুরলিধর সেন লেনের শূন্যতা ফলাফলের ইঙ্গিত দিচ্ছিল৷ বেলা গড়াতেই চার কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে হারের খবর প্রকাশ পেল৷ তিন কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীর জামানাত জব্দ হল৷ কার্যত ‘দিশাহীন’ হয়ে পড়ল বিজেপি৷ বিকেল ৪.১৫ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য,দিলপী ঘোষদের বক্তব্য ও তাঁদের চোখমুখের ছবি আরও ‘দিশাহীন’ হওয়ার ছবি স্পষ্ট করল৷ তাঁরা কোনও প্রকার ‘হোম ওয়ার্ক’ না করেই বৈঠক করছেন বক্তব্যেই স্পষ্ট৷ আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অনুপস্থিতি নিয়ে৷
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে শমীক-দিলীপবাবুরা কখনও বলেন, তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতেছেন৷ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে৷ এতটাই ভোট পেয়েছে যে, ৩৪ বছরের বাম শাসনের উপ-নির্বাচনে এত ভোটে বামপ্রার্থীরা জেতেননি৷ আবার কখনও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন, দিনহাটা, গোসাবাতে সন্ত্রাস চলেছে৷ বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করতে দেওয়া হয়নি৷ দিনহাটার জন্য এজেন্ট বৈঠক কোচবিহারে করতে হয়েছে৷ সন্ত্রাসের জোরেই তৃণমূল আগামীতে একশো শতাংশ ভোট পাবে দাবি করলে অবাক হবেন না বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷
এ দিন বৈঠকের শুরুতেই শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয় হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই ব্যবধান জনমানসের প্রকৃত প্রতিফলন৷ মানুষের রায়ে আমরা পরাজিত৷ এই হার থেকে আমরা শিক্ষা নেব৷’
আরও পড়ুন-দিশাহীন কংগ্রেসের জামানত জব্দ, অধীর মানলেন সংগঠনের অভাব
পরাজয় স্বীকার করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের ব্যপক জয় হয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু, দিনহাটা,গোসাবাতে বিজেপি প্রার্থীদের প্রচার করতে দেওয়া হয়নি৷ তৃণমূল প্রার্থী গ্রামের লোককে ফোন করে ঘর থেকে বের না হওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷ তাঁকে এলাকার মানুষ চেনেন না৷ তাও এত ভোটে জিতল কী করে? সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোট করিয়েছে তৃণমূল৷ অথচ, চার কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য ৯২ কোম্পানি কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল৷ ভোট গ্রহণের দিনে তেমন সন্ত্রাসের খবরও পাওয়া যায়নি৷ তাই, স্বাভাবিক ভাবেই ভরাডুবির পাল্টা দিলীপবাবুর সন্ত্রাস যুক্তি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই!